শিশুদের জন্য ভুট্টা কতটা উপকারী, জেনে নিন…

বাচ্চাদের মনমতো খাবার দেওয়া রোজকার ঝামেলা। কী দিলে তাঁদের মনের মতো হবে, সবজিতে কী দিলে ঝটপট খেয়ে নেবে, অন্য়দিকে পুষ্টিকর খাবারের কথাও চিন্তা করেন মায়েরা। এবার পেট ভরতি পুষ্টিকর খাবার দিতে ভুট্টা বেছে নিন।

শিশুদের জন্য ভুট্টা কতটা উপকারী, জেনে নিন...
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Updated on: Apr 11, 2021 | 7:43 PM

যে কোনও বয়সের জন্যই ভুট্টা উপকারী। সন্ধের টিফিনে আগহুনে ঝজলসানো ভুট্টার স্বাদই আলাদা। তাই বলে প্রচিদিন আগুনে পোড়ানো ভুট্টার কথা এখানে বলা হচ্ছে না। ছোট্ট শিশুকে যত তাড়াতাড়ি ভুট্টার সঙ্গে পরিচয় করান। তাদের ডায়েটেও রাখুন এই প্রোটিনে সমৃদ্ধ শস্য। ভুট্টা খেলে শিশুদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা জেনে নিন এখানে…

যে সব শিশুরা এখনও শক্ত খাবার খাওয়ায় অভ্যস্ত নয়, তাদেরকে কর্ন বা ভুট্টা দেবেন না। গলায় আটকাতে পারেন। একবছরের কম যাদের বয়স তাদের কর্ন দেবেন না। কর্নে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও শর্করা থাকে যা এটিকে দুর্দান্ত শক্তিযুক্ত খাবার হিসাবে তৈরি করে। বাচ্চাদের এলার্জি, বদহজমের ঝুঁকি কমায়।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার থাকায় শিশুদের পেটের পক্ষে খুব ভাল। এতে রয়েছে খনিজ, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসও।

প্রথম প্রথম ভুট্টার পিউরি তৈরি করেশিশুকে খাওয়ান। এটি নরম ও খেতে সুবিধা হবে।

ক্যানড কর্ন না খাওয়ান ভাল। রান্না করে ভুট্টার নানান পদ খাওয়াতে পারেন।

ভুট্টা বাচ্চাদের জন্য কেন উপকারী

– ১০০ গ্রাম ভুট্টায় প্রায় ৩৫০ ক্যালোরি থাকে। যদি আপনার বাচ্চার ওজন কম হয় তবে কর্ন ডায়েটে রাখতে পারেন। ব্রেস্টমিল্ক খাওয়া বন্ধ করলে শিশুর দেহের ওজন ঠিক রাখতে ভুট্টা দেওয়া যেতে পারে।

– বিভিন্ন ধরণের খনিজ ও ভিটামিন সমৃদ্ধ হওয়ায় দেহের বিকাশে সহায়তা করে। কর্নের থায়ামিন বাচ্চার স্নায়ু ও মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।

– ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ, বিটা ক্যারোটিনের উৎস হল কর্ন। বাচ্চার দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিটা ক্যারোটিনও একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা শিশুর ত্বককে নরম ও ভাল রাখে।

– বাচ্চার হজম বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে ভুট্টার পিউরি বা ভুট্টা দিয়ে তৈরি নানান পদ খাওয়াতে পারেন।

তবে বাচ্চার এলার্জি থাকলে ভুট্টা এড়িয়ে চলুন। ত্বকে এলার্জি, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, ঘন ঘন হাঁচি, মাথাব্যাথা, বমি বমি ভাব, বদহজম, ডায়েরিয়া হলে ভুট্টা একদম না। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বাচ্চাকে নতুন খাবারে অভ্যস্ত করাবেন না।