Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Heart Attack Sign: নারী ও পুরুষদের মধ্যে হার্ট অ্যার্টাকের লক্ষণ ভিন্ন, তুলনায় মেয়েদের জটিল…

মেনোপজের পর মেয়েদের হার্টের সমস্যা অনেক বেশি হয়। এছাড়াও মেয়েদের হার্টের গঠনগত সমস্যার জন্যই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বা বাইপাস সার্জারি সব সময় সম্ভব হয় না

Heart Attack Sign: নারী ও পুরুষদের মধ্যে হার্ট অ্যার্টাকের লক্ষণ ভিন্ন, তুলনায় মেয়েদের জটিল...
মহিলাদের মধ্যে যে কারণে বাড়ছে হার্টের সমস্যা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 11, 2022 | 10:49 PM

হার্ট অ্যার্টকে আক্রান্তের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকখানি বেড়েছে। আচমকাই আনেকে চলে যাচ্ছেন। এমনকী কম বয়সীদের মধ্যেও কিন্তু বেড়েছে এই প্রবণতা। মহিলা-পুরুষ উভয়ই আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে হার্ট অ্যার্টাকের লক্ষণ কিন্তু মহিলা ও পুরুষ ভেদে আলাদা হয়। কারণ শারীরিক ভাবে, হরমোনগত ভাবে, পেশির গঠন এব অন্যান্য জৈবিক কারণে মহিলা ও পুরুষদের স্বাস্থ্যের মধ্যে বেশ কিছু প্রভেদ রয়েছে। তবে হৃদরোগের জটিলতা হতে পারে নারী-পুরুষ উভয়েরই। তবে বিভিন্ন অবস্থায় এই রোগ-উপসর্গ কিন্তু আলাদা হতে পারে। আর লিঙ্গভেদে তা কিন্তু আলাদাও হয়। কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় হার্টের সমস্যা কিন্তু সঠিক ভাবে শণাক্ত করা যায় না। আর হার্টের সমস্যা হলে পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে কিন্তু আলাদা প্রভাব পড়ে।

শুধু তাই নয়, পুরুষ ও নারীর শরীরের গঠন কিন্তু আলাদা। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হার্টের আভ্যন্তরীণ প্রকোষ্ঠ গুলি কিন্তু ছোট। সেই সঙ্গে মেয়েদের হৃৎপিণ্ডের দেওয়ালও পাতলা হয়। ফলে মেয়েদের হার্ট একজন পুরুষের হার্টের তুলনায় ১০ শতাংশ কম রক্ত পাম্প করে। যে কারণে মহিলাদের যদি কোনও কারণে মানসিক চাপ বাড়ে তাহলে কিন্তু তখন হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে হৃৎপিণ্ড তখন রক্ত তখন বেশি পাম্প করে। এবং পুরুষদের তুলনায় তখন মেয়েদের হৃৎপিণ্ডের সংকোচন-প্রসারণ অনেক বেশি হয়। যে কারণে মহিলাদের হার্ট অ্যার্টাক অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। এবং যদি মেয়েদের হার্টের সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে তাঁদের অনেক বেশি যত্ন নিতে হয়। এবং মেয়েরা যদি একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন সেখান থেকে তাঁদের সুস্থ করে তোলাও কিন্তু বেশ জটিল।

এইচসিএমসিটি মণিপাল হাসপাতাল, দ্বারকার চিকিৎসক ডাঃ যুগল কিশোর মিশ্র, কার্ডিয়াক সায়েন্সের প্রধান এবং চিফ কার্ডিও ভাস্কুলার সার্জনের মতে, মেয়েদের হার্ট পুরুষদের তুলনায় ছোট। ফলে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বা বাইপাস সার্জারি মেয়েদের ক্ষেত্রে যেমন কঠিন তেমনই ঝুঁকিপূর্ণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিন্তু করাই যায় না। শুধু তাই নয়, মহিলাদের ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি, সেইসঙ্গে অ্যানিউরিজম এবং মাইট্রাল রেগারজিটেশনের বৃদ্ধির কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে।

এছাড়াও বেশিরভাগ মহিলা বিভিন্ন হরমোনজনিত অসুখে ভোগেন। এন্ডোমেট্রিওসিস, পলিসিস্টিক ওভারি এবং ডিম্বাশয়ের সমস্যার জন্য মেয়েদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। সেই সঙ্গে আজকাল মেয়েদের মধ্যে উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়াবিটিসের সমস্যাও কিন্তু অনেকটাই বেশি। সেই সঙ্গে মেয়েরাও আজকাল অনেক বেশি ধূমপান করে, মেয়েদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যাও বেশি- সব মিলিয়ে মেয়েদের মধ্যেও বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি। তৈরি হয় জটিলতাও।

আমাদের দেশে মহিলাদের যাবতীয় সমস্যা তৈরি হয় মেনোপজের পর। ইসচ্রোজেন হরমোনই এর জন্য দায়ী। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেখানে ৬০-৬৫ বছরের মহিলারা হার্টের সমস্যায় বেশি ভোগেন আমাদের দেশে  কিন্তু ৫০-৫৫ বছর বয়সী মহিলারাদের মধ্যে হার্টের রোগের ঝুঁকি বেশি। যে কারণে মেনোপজের পর মহিলাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের মত সমস্যা কিন্তু বেশি ঘিরে ধরে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।