বায়ু দূষণের জেরে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা রোধ করার কয়েকটি টিপস, যা বর্তমানে একান্ত জরুরি!

দূষণকারী যেমন কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, বেনজিন, সালফার ডাই অক্সাইড, ওজোন ও আরও সাতটি সাধারণ দূষণকারীর সংস্পর্শে এলে কার্ডিয়াক অ্য়ারেস্টের ঝুঁকি বাড়ায়।

বায়ু দূষণের জেরে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা রোধ করার কয়েকটি টিপস, যা বর্তমানে একান্ত জরুরি!
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2021 | 9:00 AM

বায়ু দূষণ যে হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে যুক্ত তা এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বায়ু দূষণ ও কার্ডিওভাসকুলারের মতো মারাত্মক রোগ-সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরির স্পষ্ট যোগসূ্ত্র তৈরি হয়। ইএসসি কংগ্রেস ২০২১-এর একটি নয়া গবেষণায় উঠে এসেছে আরও ভয়ংকর তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে, দূষণকারী যেমন কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, বেনজিন, সালফার ডাই অক্সাইড, ওজোন ও আরও সাতটি সাধারণ দূষণকারীর সংস্পর্শে এলে কার্ডিয়াক অ্য়ারেস্টের ঝুঁকি বাড়ায়।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ

হৃত্‍‌পিন্ডের একটি অংশে রক্ত সরবরাহ কমে এলে , তখন হার্ট অ্য়াটাক হয়। হার্ট আ্যাটাকে আক্রান্ত ব্য়ক্তিকে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বলা হয়। অন্যান্য উপসর্গের পাশাপাশি বুকে ব্যাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্বস্তি অনুভব করে। প্রচলিত লক্ষণগুলির মধ্যে বুকে চাপ এবং আঁটসাঁট ব্যথা, বাহু, ঘাড়, চোয়াল বা পিঠে ব্যথা, বুকে ভারি হওয়া, বমি বমি ভাব, ঘাম হওয়া, শ্বাসকষ্ট, হালকা মাথা ঘোরা, উদ্বেগ এবং কাশি এগুলি দেখা যায়। এই উপসর্গগুলি মাঝে মাঝে দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

অত্যন্ত দূষিত স্থানগুলি পরিষ্কার করুন- দীর্ঘ ভ্রমণে যাওয়া এড়িয়ে চলুন, অগ্নিকুণ্ড বা উনুনের ব্যবহার হ্রাস করুন, পাতা বা অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ পোড়াবেন না।

বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন- মহামারীতে মাস্কের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে। বাইরে যাওয়ার সময় শুধু ভাইরাস এড়ানোর জন্য নয়, দূষণ এড়াতেও মাস্ক পরা আবশ্যিক।

সঠিক ডায়েট মেনে চলুন- গবেষণায় দেখা গেছে যে পুরো শস্য, ফল, শাকসবজি, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধ ইত্যাদি সমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য বায়ু দূষণকারীদের দীর্ঘমেয়াদী সংস্পর্শে থাকার কারণে কার্ডিওভাসকুলার রোগের মৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।

ধূমপান করবেন না- বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়ে চলেছে বলে চিন্তায় পড়েছেন, এদিকে বাড়ির অন্দরেই নিজেকে শুধরোতে পারছেন না। দুর্ভাগ্যবশত আমরা আমাদের বাড়ির ভিতরে নিজেরাই বায়ু দূষণের জন্য দায়ী। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, ধূমিপান বা সিগারেট বায়ু দূষণের অন্য়তম কারণ। তাই নিজেকে পরিবর্তন করলে তবেই সমাজের মানসিকতা পাল্টাতে পারবেন।

বৃক্ষরোপন করুন- ছোটবেলা থেকেই এই বইয়ের পাতায়, সচেতনমূলক বার্তায় বৃক্ষরোপনের গুরুত্বের কথা বলা হয়। নিজেদের জীবন বাঁচাতে এখন গাছের প্রাণ বাঁচানো দরকার পড়েছে। প্রতিটি গাছের জন্য একটিগাছ লাগানো উচিত। কিন্তু বাস্তবের মাটিতে গাছ কেটে সাফ হয়ে যাচ্ছে জঙ্গল। ফলে বাতাসে স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে গিয়েছে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ।

খোলা জায়গায় ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করুন- সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য ভাল রাখা জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করা গুরুত্বপূর্ণ। দূষণের হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিন শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। তবে খোলা জায়গায় ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।

আরও পডুন: নয়া করোনাভাইরাস ভ্যারিয়েন্ট আরও মারাত্মক! কোভিড-২২ নিয়ে সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের