Cervical cancer: জরায়ুমুখ ক্যানসার রুখতে সামান্য এই কয়েকটি সচেতনতা অবশ্যই মেনে চলুন রোজকার জীবনে…

Cervical Cancer Awareness Month: জরায়ুমুখ ক্যানসার ভয়ংকর হলেও কিন্তু প্রতিরোধযোগ্য। তাই বলে কোনও রকম সমস্যা হলে চেপে রাখবেন না বা অবহেলা নয়। যেনি থেকে রক্তপান, জ্বালা, চুলকানির সমস্যা ডেকে আনতে পারে বিপদ

Cervical cancer: জরায়ুমুখ ক্যানসার রুখতে সামান্য এই কয়েকটি সচেতনতা অবশ্যই মেনে চলুন রোজকার জীবনে...
জরায়ুমুখ ক্যানসারে সময়ে ধরা পড়লে চিকিৎসা সম্ভব
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 26, 2022 | 7:46 PM

চলছে সার্ভিক্যাল ক্যানসার (cervical cancer) সচেতনতা মাস। সম্প্রতি ২২০৩ জন মহিলার প্যাপ স্মিয়ার স্ক্রিনিং (Pap smear) থেকে জানা গিয়েছে, প্রায় ২৮ শতাংশ মহিলার জরায়ুমুখ ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে। তবে বেশিরভাগেরই বয়স ৩০ এর মধ্যে। জরায়ু এবং যোনির মধ্যবর্তী অঞ্চলে যে ক্যানসার হয় তাই প্রধানত জরায়ু মুখ ক্যানসার বলে পরিচিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (Human papillomavirus)সংক্রমণ হয় যোনিতে এবং পরবর্তীতে যেখান থেকেই রয়ে যায় ক্যানসারের সম্ভাবনা। যোনি থেকে রক্তপাত, সহবাসের সময় যোনিতে ব্যথা, জ্বালা ভাব কিংবা প্রায়শই যোনিতে ব্যথা-চুলকোনো-এই সব উপসর্গ থাকলে কিন্তু অবহেলা নয়। কারণ জরায়ুমুখ ক্যানসারের এই সবই হল প্রাথমিক লক্ষণ।

সার্ভিক্যাল ক্যানসার কিন্তু প্রতিরোধযোগ্য এবং এর উপযুক্ত চিকিৎসা রয়েছে। ঠিক সময়ে ঠিকমত চিকিৎসা হলে এই ক্যানসার সেরে যায়। রুটিন মাফিক টেস্ট, টিকা এবং নিরাপদ যৌন অভ্যাসই কিন্তু আপনাকে রক্ষা করবে এই ক্যানসারের প্রকোপ থেকে। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা প্রয়োজন। মেনে চলতে হবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধিও। নিজেকে সব সময় পরিষ্কার থাকতে হবে। ধূমপান, মদ্যপান এসব একেবারেই বাদ দিতে হবে। ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথের থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে, জরায়ু মুখ ক্যানসারে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ভারতে, ২০১৮ সালে। সংখ্যাটি খুবই উদ্বেগজনক। আর তাই যত দ্রুত স্মভব এর বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। আর এর জন্য কিন্তু এগিয়ে আসতে হবে মহিলাদেরই। প্রতিদিনের জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন-

ধূমপান একদম নয়- ধূমপান বন্ধ করতেই হবে। ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ রকম ক্ষতিকারক। ধূমপান করলে শুধুই যে শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি হয় তেমন নয়, জরায়ুমুখ ক্যানসারের সম্ভাবনাও থেকে যায়। বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে, তামাকের মধ্যে যে নিকোটিন থাকে তা সার্ভিক্যাল ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি। তাই যত দ্রুত সম্ভব ধূমপান বন্ধ করে দিন।

প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা- বছরে অন্তত একবার প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা করানো ভীষণ জরুরি। কারণ এই পরীক্ষা থেকেই বোজা যায় জরায়ুতে কোনও অস্বাভাবিকতা আছে কিনা কিংবা জরায়ুমুখ ক্যানসারের সম্ভাবনা আছে কিনা। ইন্ডাস হেলথ প্লাস ডেটা অনুয়ারে, ২২০৩ জনের প্যাপ স্মিয়ার স্ক্রিনিং থেকে ২৮ শতাংশের ক্যানসারের সম্ভাবনা রয়েছে এরকম প্রমাণ মিলেছে। ৪১-৫০ বছর মহিলাদের মধ্যে এই ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেক বেশি। বিশেষ করে মেনোপজের সময়ে। অনেকেই প্রথম থেকে জ্বালাভাব উপেক্ষা করে যান। যার ফলে পরবর্তীতে গুরুতর সমস্যা হয়।

হরমোনের পরিবর্তন- জরায়ু মুখ ক্যানসারের সম্ভাবনা থাকলে সেখান থেকে হরমোনেও বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষায় যদি কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে, তাহলে দ্রুত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কারণ যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু হবে তত তাড়াতাড়ি কিন্তু এই রোগের হাত থেকে আপনি মুক্ত হতে পারবেন। সেই সঙ্গে নিরাপদ যৌন অভ্যাস গড়ে তুলুন। সহবাস সঙ্গী একাধিক হলেই মুশকিল।

টিকাকরণ- সার্ভিক্যাল ক্যানসার রুখতে এখন ভ্যাকসিনও রয়েছে। নির্দিষ্ট ধরণের HPV-ভাইরাস থেকে রক্ষা করতেই এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য কিন্তু নির্দিষ্ট বয়স এবং সময় থাকে। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে অবশ্যি চ্কিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিন। তিনিই আপনাকে বলে দেবেন আদৌ আপনার এই ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা। সেই সঙ্গে রোজ প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, শাক-সবজি বেশি পরিমাণে খাওয়া,ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এসব মেনে চলতেই হবে। যোনিতে কোনও রকম ব্যথা বা সমস্যা হলে কিন্তু ফেলে রাখবেন না।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। 

আরও পড়ুন: WHO and Covid-19: মাস্কের ব্যবহার নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে নির্দিষ্ট কোনও গাইডলাইন নেই! যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা…