Ayurveda: জ্বর থেকে শ্বাসকষ্ট, বর্ষার এই দেশি ফুলেই হবে সব রোগ কুপোকাত
Health Tips: দোপাটি গাছ কিন্তু বীজ থেকেই জন্মায়। বিদেশের বেশ কিছু মাটিতে এই গাছ হলেও আমাদের দেশে এর কদর সবচাইতে বেশি। এই গাছের ঔষধি গুণ অনেক
বর্ষায় এই ফুলের দেখা সবচেয়ে বেশি মিললেও আজকাল সারাবছরই পাওয়া যায় দোপাটি ফুল। এই ফুল দেখতে যেমন ভাল তেমনই এর উপকারিতা অনেক। যদিও আজকাল বাজারে বিদেশি ফুলের দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে এই সমস্ত দেশি ফুল। এখনও গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে বর্ষাতেই দেখা মেলে বেগুনি রঙের দেশি দোপাটির। বর্ষায় বাংলার মাটিতে নানা দেশি ফুল জন্মায়। এই প্রতিটি ফুল দেখতে যেমন সুন্দর তেমনই কিন্তু উপকারিতায় ভরপুর। আজকাল নানা রকমের দোপাটি পাওয়া যায়। সাদা, লাল, গোলাপি। রয়েছে বিভিন্ন মিশ্র প্রজাতিও। সিঙ্গল এবং ডাবল এই দুই রকমেরই দোপাটি পাওয়া যায় বাজারে। যদিও ডাবল দোপাটির চাহিদাই কিন্তু সবচাইতে বেশি। এই ফুল ফুলদানিতে রাখা যায় না ঠিকই কিন্তু উপকারিতায় দশ গোল দেবে গোলাপ, রজনীগন্ধাকে। দোপাটি গাছ কিন্তু বীজ থেকেই জন্মায়। বিদেশের বেশ কিছু মাটিতে এই গাছ হলেও আমাদের দেশে এর কদর সবচাইতে বেশি। এই গাছের ঔষধি গুণ অনেক। ফুল, পাতা, শেকড় সবই কাজে লাগানো হয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসায়। এমনকী প্রচুর ওষুধও কিন্তু তৈরি করা হয় এই ফুল থেকে। যে কোনও পোড়া, দাগ বা ত্বকের সমস্যায়, জয়েন্টের ব্যথায় এবং বমি ভাব কাটাতে কাজে লাগে এই দোপাটি থেকে তৈরি টনিক। যাঁদের প্রস্রাবে সমস্যা রয়েছে, সব সময় তা ক্লিয়ার হয় না তাঁরাও যদি এই দোপাটির তৈরি টনিক খান তাহলে উপকার পাবেন। এছাড়াও শরীরের ডিটক্সিফিকেশনেও ভাল কাজ করে এই দোপাটি। ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি ওষুধ ব্যবহার করা হয় কিডনির সমস্যায়।
শ্বাসকষ্টের সমস্যায়- অনেকেই বর্ষা পড়লে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের জন্য কিন্তু বেশ উপকারী এই দোপাটি। দোপাটি ফুলের মূল শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এবার তা মোটা ছালের মধ্যে পুরে চুরুট হিসেবে বানিয়ে খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যার সমাধান হয়। যাঁদের ক্রনিক অ্যাজমা রয়েছে তাঁরাও উপকার পাবেন।
বার বার জ্বর হলে কিংবা মরশুমি সর্দি-কাশিতেও কিন্তু কাজে লাগানো যায় এই দোপাটিকে। দোপাটির মূল সিদ্ধ করে নিন। এবার তা ছেঁকে নিয়ে চাল ধোওয়া জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এভাবে খেতে পারলে জ্বর কমে।
পেট পরিষ্কার করতে- যাঁরা নিয়মিত ভাবে অর্শ্বর সমস্যায় ভোগেন তাঁরা দোপাটির পাতা সিদ্ধ করে খান। এতে উপকার পাবেন। মলত্যাগে কোনও কষ্ট হবে না। সেই সঙ্গে পেটো থাকবে পরিষ্কার।
হাতে-পায়ে জ্বালা থাকলে- কোথাও কেটে গেলে পা পুড়ে গেলে সেই স্থানে যগি সঙ্গে সঙ্গে দোপাটি পাতা ঘষে দিতে পারেন তাহলে উপকার পাওয়া যায়। বছরের পর বছর ধরে কিন্তু চলে আসছে এই টোটকা। দোপাটি পাতা যে কোনও ক্ষতস্থানে ঘষলে রক্তপাও বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও দোপাটি ফুলের নির্যাস কাজ করে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে। আয়ুর্বেদ ওষুঝ তৈরিতে তা ব্যবহার করা হয়।
শ্বেতি- অনেকেরই শ্বেতির সমস্যা রয়েছে। তাঁরা যদি দোপাটি গাছের ছাল বেটে নিয়ে নিয়মিত ভাবে ত্বকে লাগাতে পারেন তাহলেও উপকার পাবেন। সমস্যা কমবে অনেকটাই।