Covid-19: পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে ওমিক্রনের উপসর্গ আলাদা! জানতেন?

কোভিড থেকে কবে নিস্তার মিলবে তা সঠিক ভাবে জানে না কেউই। কিন্তু আমাদের মেনে চলতে হবে যাবতীয় কোভিড বিধি। সেই সঙ্গে মনের উপর যাতে চাপ না পড়ে সেদিকেও কিন্তু খেয়াল রাখা জরুরি

Covid-19: পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে ওমিক্রনের উপসর্গ আলাদা! জানতেন?
কোভিডের লক্ষণ নারী-পুরুষ ভেদে ভিন্ন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 15, 2022 | 1:08 AM

কোভিডের সংক্রমণ যে ভাবে ছড়াচ্ছে বিশেষত ওমিক্রন যে ভাবে থাবা বসিয়েছে তাতে যে কোনও সময় যে কোনও কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। সেখানে না আছে লিঙ্গভেদ নিা বয়সে। এছাড়াও কোনও সুস্থ ব্যক্তিও যেমন আক্রান্ত হতে পারেন তেমনই যিনি অসুস্থ বা যাঁর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তিনিও কিন্তু আক্রান্ত হতে পারেন। যাঁদের কোভিড টিকার কোনও ডোজই নেওয়া নেই তাঁদের আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি। এছাড়াও, যাঁরা কোভিডের কোনও রকম বিধিনিষেধ মানেন না, মাস্ক পরেন না এবং সব সময় কোভিড আক্রান্তের আশপাশে থাকছেন তাঁদের মধ্যেও কিন্তু বেড়ে যায় আক্রান্তের সম্ভাবনা।

মোটকথা কোভিড আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলেই যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়াও কোভিড সংক্রমণের সাধারণ লক্ষণ হল জ্বর, সর্দি, কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া এবং দুর্বল লাগা। এছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে স্বাদ ও গন্ধেও বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কোভিডে পর স্বাদ-গন্ধ ফিরে আসার ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা সময় লেগে গিয়েছিল। সম্প্রতি একটি গবেষণা কিন্তু একেবারে ভিন্ন তথ্য দিচ্ছে। এই গবেষণা মতে কোভিডের উপসর্গ মহিলা-পুরুষ ভেদে পৃথক হয়।

আমেরিকায় ZOE COVID স্টাডি অ্যাপের সাহায্যেই মিলেছে নতুন এই তথ্য। আর যা কিন্তু অত্যন্ত আকর্ষণীয়। তবে কারোর ক্ষেত্রেই রোগ লক্ষণ কিন্তু তেমন জটিল নয়। কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে অর্থাৎ ওমিক্রনেই কিন্তু সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যাঁদের কোভিড টিকার দুটো ডোজ নেওয়া ছিল, এমনকী বুস্টার ডোজও নেওয়া ছিল তাঁরাও কিন্তু নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। যাঁরা ডেল্টায় সংক্রমিত হয়েছিলেন তাঁরাও পুণরায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে কারোর ক্ষেত্রেই তেমন বিশেষ জটিলতা ছিল না। সর্দি-কাশির মতো সাধারণ উপস৪গ ছিল। এবং সকলেই বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে সকলের ক্ষেত্রেই একটা সমস্যা হল ক্লান্তি। আর এই ক্লান্তি কাটতে বেশ কিছুদিন পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে।

২০২১ এর ২৩ ডিসেম্বর থেকে- ২০২২ এর ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি রেকর্ড রাখা হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে মাত্র ৩২ শতাংশ ক্লান্তির কথা বলেছেন। আর মেয়েদের মধ্যে সেই সংখ্যাটা কিন্তু ছিল ৪০ %। এমনকী কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর বেশ কিছুদিন পর্যন্ত মেয়েরা এই ক্লান্তির সমস্যায় ভুগেছেন। সম্প্রতি দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেই উঠে এসেছে এমন তথ্য।  সেই সঙ্গে মেয়েদের মধ্যে রাগ, হতাশা, বিরক্তি এসবও বেশি ছিল অনেকটাই। অল্পেই তাঁরা ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলেন। কোনও ভাবেই নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছিলেন না। একই সঙ্গে ডিপ্রেশনের মত সমস্যাও কিন্তু এসেছিল।

৪৫ বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা ছিল সবচাইতে বেশি। এঁদের উপসর্গ যেমন বেশি ছিল তেমনই ছিল কোভিড ক্লান্তি। যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ৪৬% মহিলা কিন্তু একটু বেশিই ভুগেছিলেন। আর ছেলেদের মধ্যে মাত্র ২৭%জানিয়েছেন তাঁদের কোভিডের উপসর্গ ছিল। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে চিত্র ছিল একদম উলটো। এঁদের মধ্যে সংক্রমণ বা রোগ উপসর্গ দুই কম ছিল। সেই সঙ্গে এঁরা ক্লান্তির সমস্যাতেও কম ভুগেছেন। মাত্র ১৮ শতাংশের ক্ষেত্রে ছিল এই ক্লান্তি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রাকৃতিক অনাক্রম্যতার জোরেই কিন্তু সকলে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে এসবের পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে সুস্থ অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। মানতে হবে কোভিড বিধি। কারণ করোনার হাত থেকে কবে রেহাই পাওয়া যাবে তা কেউ জানেন না। মনের মধ্যে চাপ পুষে রাখলেই কিন্তু বাডডবে মানসিক সমস্যা।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।