Health Tips: শরীর সুস্থ আছে কিনা তা জানতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হার্ট রেট, এর কারণ জানেন…

হার্টরেট কমে যাওয়া কিংবা বেড়ে যাওয়ার উপর নির্ভর করে সুস্থতা। আর তাই এই ব্যাপারে বিশেষ যত্নের প্রয়োজন

Health Tips: শরীর সুস্থ আছে কিনা তা জানতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হার্ট রেট, এর কারণ জানেন...
নিয়মিত হৃদস্পন্দনের দিকে খেয়াল রাখুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 13, 2022 | 10:53 PM

আজকাল সকলেই কিন্তু ফিটনেস ফ্রিক। ডায়েট, শরীরচর্চা-নিজেকে একটা রুটিনের মধ্যে বেঁধে ফেলার চেষ্টা করেন। শুধু তাই নয়, ঘড়ি থেকে স্মার্টফোন- ফিটনেস অ্যাপ কিন্তু এখন থাকে সর্বত্র। দিনকাল যে ভাবে বদলেছে তাতে কিন্তু ফিট থাকাটা সবার জন্যই ভীষণ জরুরি। হার্টের সমস্যা আগের তুলনায় অনেকখানি বেড়েছে। অনেক কম বয়সীদের মধ্যেও বেড়েছে হার্ট অ্যার্টাকের সম্ভাবনা। যে কারণে এখন সকলেরই হার্ট রেট কিন্তু মেপে রাখা ভীষণ প্রয়োজন। ১৭ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁরা তাঁদের হার্টবিট ৬০-১০০ এর মধ্যে থাকে। যদিও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তা কিন্তু অনেকটা বেশি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে ৫০-৭০ হার্টবিট হল স্বাভাবিক।

ডাঃ জয়দীপ মেনন, পরামর্শক, অ্যাডাল্ট কার্ডিয়োলজিস্ট, অমৃতা হাসপাতাল, কোচি- জানান যখন একজন মানুষ বিশ্রাম নেন তখনই কিন্তু তাঁর সবথেকে ভাল হার্টরেট পাওয়া যায়। এছাড়াও যাঁরা ক্রিড়াবিদ হন তাঁদের ক্ষেত্রে হার্টরেট কিন্তু তুলনায় অনেকটাই বেশি। যাঁদের শারীরিক কোনও অসুস্থতা রয়েছে, যাঁরা পুরোপুরি বেড রেস্টে আছেন তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু হার্টরেট বেশি হয়। এছাড়াও যাঁরা মানসিক চাপ, উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে বা কোনও স্নায়ুর সমস্যায় রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু হার্টবিট বেশি হয়। এছাড়াও যাঁদের হাইপোথাইরয়েডিজম রয়েছে, হাইপোথার্মিয়া রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রেও কিন্তু হার্টবিট কম থাকে। আর যখন এই কম হৃদস্পন্দনের সঙ্গে ক্লান্তি, অস্থিরতা, সব কিছু ভুলে যাওয়ার মত সমস্যা হয় তাহলে কিন্তু দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।

যদি অ্যানিমিয়া, থাইরয়েড, বিপাকীয় সমস্যা, লিভারের সমস্যা এবং শরীরে কোনও সংক্রমণ থেকে থাকে তাহলে কিন্তু হার্টরেট সব সময় বেশি থাকে। আবার টাইফয়েড বা হার্টের কোনও সমস্যা হলে কিন্তু সেক্ষেত্রে হার্টরেট কম থাকে। এছাড়াও রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকলে তখনও কিন্তু হৃদস্পন্দন কম থাকে। তবে থাইরয়েড, হাঁপানি বা অন্য কোনও সমস্যা যদি থাকে আর সেই সমস্যার জন্য যদি ওষুধ খান এক্ষেত্রেও কিন্তু হৃদস্পন্দন ভিন্ন হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যি পরামর্শ করে নেবেন। সব বাড়িতেই এখন অক্সিমিটার থাকে। ফলে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করার পাশাপাশি হৃদসম্পন্দনও কিন্তু সহজে পরিমাপ করা যায়।

কোভিড পরবর্তী সময়ে অনেকেই নানা সমস্যায় পড়েছেন। কোভিডের ভাইরাস কিন্তু সরাসরি আঘাত করে আমাদের ফুসফুসে। আর পর বর্তীতে সেখান থেকে আসে একাধিক সমস্যা। যাঁরা কোভিড থেকে সেরে উঠছেন তাঁরাও কিন্তু হার্টের নানা সমস্যায় ভুগছেন এমনটাও শোনা গিয়েছে। এছাড়াও কোভিড পরবর্তীতে ফুসফুসে রক্ত জমাট বাধার মত সমস্যাও কিন্তু আসে। আর সেখান থেকে রক্তে অক্সিদেন প্রবাহ বাধা পায়, এবং যা কিন্তু দ্রুত হার্টবিটের কারণ। অতি দ্রুত হার্টবিট কিন্তু মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।