Weight Loss Diet: পুজোর আগে ১ মাসে ৫ কেজি ওজন কমাতে চান? মেনে চলুন পুষ্টিবিদের এই টিপস
Diet Tips for Weight Loss: বাড়তি ওজন মোটেই ভাল বিষয় নয়। সৌন্দর্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পাশাপাশি একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায়। রোজকার জীবনে অনিয়মের ফলেই পেট, উরু, কোমরে মেদ জমে। মাত্র ১ মাস সঠিক ডায়েট মেনে চললেই আপনি পুজোর আগে চার-পাঁচ কেজি পর্যন্ত ওজন কমাতে পারবেন।
পুজো আসতে আর বেশি দেরি নেই। ১৫ অগস্ট এলেই দোকানে দোকানে সেল শুরু হয়ে যাবে। এই সুযোগে কয়েকটা ভাল জামাও কিনে রাখবেন। এছাড়া সারাবছর টুক টুক করে অনলাইন শপিং চলতে থাকে। কিন্তু জামা কিনতে গিয়ে যদি দেখেন সাইজ M থেকে L-এ পৌঁছে গিয়েছে, তখন কী করবেন? বাড়তি ওজন মোটেই ভাল বিষয় নয়। সৌন্দর্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পাশাপাশি একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায়। রোজকার জীবনে অনিয়মের ফলেই পেট, উরু, কোমরে মেদ জমে। মাত্র ১ মাস সঠিক ডায়েট মেনে চললেই আপনি পুজোর আগে চার-পাঁচ কেজি পর্যন্ত ওজন কমাতে পারবেন। কিন্তু কোন ডায়েট মানবেন? কোন খাবার রোজ খাবেন আর কোনটা এড়িয়ে চলবেন? TV9 বাংলা ডিজিটালকে টিপস দিলেন পুষ্টিবিদ অরিজিৎ দে।
পুষ্টিবিদ অরিজিৎ বলেন, “একেবারে ক্র্যাশ ডায়েট শুরু করে দিলে চলবে না। অনেকেই কার্বোহাইড্রেট খাওয়া বন্ধ করে দেন। শুধু তরল খাবার খান। এই ধরনের ডায়েটে দ্রুত ওজন কমে ঠিকই, কিন্তু এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তবে, জীবনযাপনে সামান্য বদল এনে, একটু নিয়ম মেনে খাবার খেলেই পুজোর আগে তিন-চার কেজি ওজন ঝরানো সম্ভব।”
পুজোর আগে ওজন কমাতে যে ডায়েট মেনে খাবার খাবেন-
১) অতিরিক্ত ক্যালোরি-যুক্ত খাবার চলবে না। ভাজাভুজি, কেক-মিষ্টি, চকোলেট, সফট ড্রিংক্স, প্রক্রিয়াজাত খাবার এক মাস সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন।
২) ডায়েট থেকে কার্বহাইড্রেট বাদ দেওয়ার কোনও দরকার নেই। শুধু এক মাস জটিল কার্বহাইড্রেট-যুক্ত খাবারই খান। সাধারণ সাদা পাউরুটির পরিবর্তে ব্রাউন ব্রেড, ভাতের বদলে ডালিয়া, ওটস , ময়দার বদলে আটার রুটি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৩) একেবারে তেল-মশলা ছাড়া খাবার দু’-এক দিন খাওয়া যায়, রোজ নয়। শরীরে কোনও জটিল রোগ না থাকলে, তেল ছাড়া খাবার খাওয়ার দরকার নেই। শুধু রান্নায় তেলের পরিমাণ কমান। সারাদিনের রান্নায় ৪-৫ চামচের তেল ব্যবহার করবেন না। সাদা তেল, মাখন এড়িয়ে চলুন।
৪) আলু ছাড়া রান্না করার কথা বাঙালি ভাবতে পারে না। মাছের ঝোল থেকে বিরিয়ানি—আলু সর্বত্র। পুজোর আগে সুন্দর চেহারা স্বপ্ন থাকলে আলু খাওয়া ছাড়ুন। সারাদিনে দু’টুকরোর বেশি আলু খাওয়া চলবে না।
৫) বাঙালিদের মধ্যে ফল খাওয়ার অভ্যাস নেই বললেই চলে। অথচ, ওজন কমানো থেকে ইমিউনিটি বাড়ানো—সবক্ষেত্রেই ফলের জয় জয়কার। দিনে এক বা দুটি ফল খেতেই হবে। যে কোনও মরশুমি ফল খেতে পারেন। কিন্তু ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কলাটা এড়িয়ে চলুন।
৬) ওজন ঝরাতে চাইলে দেহে তরল ও ঘুমের ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার জল খেতেই হবে। আর সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুম একইভাবে জরুরি।
৭) বাজারচলতি অনেক সংস্থাই দাবি করে, তাদের ওষুধ, ক্যাপসুল বা সাপ্লিমেন্ট খেলে সহজেই ওজন কমানো যায়। মনে রাখবেন, ওজন কমানোর কোনও ‘শর্ট কাট’ নেই। ওজন কমানোর জন্য হয়তো সাপ্লিমেন্ট খেলেন, আর এখান থেকে শরীরে অন্য রোগ বাসা বাঁধল। তাই এসব প্ররোচনায় পা দেবেন না।