Jaundice: খাওয়া-দাওয়ার প্রতি অরুচি তৈরি হয়েছে? জন্ডিসের এই ৩ লক্ষণ এড়িয়ে যাবেন না
Jaundice Symptoms: প্রাথমিক পর্যায়ে ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়াই জন্ডিসের ইঙ্গিত দেয়। লিভারে পিত্ত জমা হতে থাকলে ত্বক ও চোখ হলুদ বর্ণ ধারণ করে। তবে, এটা একমাত্র লক্ষণ নয়। এছাড়াও এমন দু'টি প্রাথমিক উপসর্গ রয়েছে, যা বলে দিতে পারে যে আপনি জন্ডিসে আক্রান্ত।

গরমে রাস্তার খাবার, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এতে যেমন বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়, তেমনই হতে পারে ডায়ারিয়া। তার সঙ্গে দেখা দিতে পারে জন্ডিসের উপসর্গ। লিভারের স্বাস্থ্য নিয়ে মানুষ খুব বেশি সচেতন নয়। কিন্তু ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। আর তার সঙ্গে সারা বিশ্বে প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয় জন্ডিসে। তাই জন্ডিসের লক্ষণ কখনওই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।
চোখ, নখ ও ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া, হলুদ রঙের প্রস্রাব হলে বুঝতে হবে আপনি জন্ডিসে আক্রান্ত। রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলেই এমনটা ঘটে। যকৃতের কোনও সমস্যা হলে তখন লিভার সেই কাজটি ঠিকমতো করতে পারে না। রক্ত পরিশুদ্ধ না হলে বিলিরুবিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। যার জেরে চোখ হলুদ হয়ে যায়, নখ ও ত্বকেরও হলদেটে ভাব দেখা যায়। এই বিলিরুবিনের মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে রোগীর মৃত্যু অবধি হতে পারে। তাই জন্ডিসের লক্ষণগুলো চিনে রাখা দরকার।
প্রাথমিক পর্যায়ে ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়াই জন্ডিসের ইঙ্গিত দেয়। লিভারে পিত্ত জমা হতে থাকলে ত্বক ও চোখ হলুদ বর্ণ ধারণ করে। তবে, এটা একমাত্র লক্ষণ নয়। এছাড়াও এমন দু’টি প্রাথমিক উপসর্গ রয়েছে, যা বলে দিতে পারে যে আপনি জন্ডিসে আক্রান্ত। লিভারে পিত্ত জমা হওয়ার কারণে পিত্তনালীতে প্রদাহ তৈরি হয়। এই প্রদাহের কারণে হঠাৎ করে পেটে জ্বালাভাব দেখা দেয়। এছাড়াও মাঝে মাঝে মারাত্মক পেটের যন্ত্রণা শুরু হয়। পাঁজরের ঠিক নিচের ডান দিকে এই ব্যথা হতে থাকে। তার সঙ্গে বমি, পায়খানাও হয়। তাই এই লক্ষণকে গ্যাস-অম্বলের লক্ষণ ভেবে এড়িয়ে গেলে আপনারই বিপদ।
জন্ডিসে আক্রান্ত হলে হঠাৎ করে খিদে কমে যায়। খাওয়া-দাওয়ার প্রতি অনীহা তৈরি হয়। শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল লিভার। তাই যখন লিভারে কোনও প্রদাহ তৈরি হয়, তার প্রভাব বাকি অঙ্গের উপরও পড়ে। জন্ডিসে আক্রান্ত হলে খাওয়া-দাওয়ার প্রতি অরুচি তৈরি হয় এবং ওজন কমতে থাকে। তার সঙ্গে শরীরজুড়ে ক্লান্তি তৈরি হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় হলে সহজেই রোগীকে বাঁচানো যায়। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে রোগীর মৃত্যু অবধি হতে পারে। তাই লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
চিকিৎসকের সঙ্গে কথা শুনে চললে আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। জন্ডিসে আক্রান্ত হলে ওষুধের পাশাপাশি ডায়েটের উপরও নজর দিতে হবে। এই সময় ফিল্টার করা জল পান করুন। তেল-মশলা ছাড়া খাবার খান। পাতলা সবজি ঝোল এই সময় দারুণ উপকারী। তাজা ফল খেতে পারেন। লেবুর রস, আখের রস, পেঁপে পাতার রস জন্ডিস থেকে সেরে উঠতে আপনাকে সাহায্য করবে। তার সঙ্গে আপনাকে বিশ্রাম নিতে হবে।





