Covid New Variant: কেন করোনার ‘প্রিয়’ ডিসেম্বর মাসই? যা অপেক্ষা করছে এবার…

JN.1 Covid-19 Variant: এ দিকে গোটা বিশ্বজুড়ে জেএন.১ প্রজাতিকে ঘিরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশে মিলেছে এই প্রজাতির অস্তিত্ব। গত এক সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ। বর্তমানে সিঙ্গাপুরেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

Covid New Variant: কেন করোনার 'প্রিয়' ডিসেম্বর মাসই? যা অপেক্ষা করছে এবার...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 18, 2023 | 5:04 PM

বছর শেষে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে (১৮ ডিসেম্বর এই প্রতিবেদ প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত)। যার মধ্যে ১ জন উত্তর প্রদেশের এবং বাকি ৪ জন কেরলের। অন্যদিকে, দেশজুড়ে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২,০০০ ছুঁইছুঁই। এমনকি ধরা পড়েছে কোভিডের নতুন প্রজাতি জেএন.১। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, ডিসেম্বর এলেই কেন লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়তে থাকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা? ডেল্টা হোক বা ওমিক্রন, শীতেই এসেছিল প্রথম ঢেউ। এবার জেএন.১-এর ক্ষেত্রেও কি একই বিষয় ঘটবে?

গত ৮ ডিসেম্বর কেরলে প্রথম জেএন.১ সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁর মধ্যে ইনফ্লুইয়েঞ্জার লক্ষণ ছিল। কোভিড পরীক্ষায় তা পজিটিভ আসে। এরপর থেকেই বিশেষ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সে রাজ্যের সরকার। কিন্তু এ দিকে গোটা বিশ্বজুড়ে জেএন.১ প্রজাতিকে ঘিরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশে মিলেছে এই প্রজাতির অস্তিত্ব। গত এক সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ। বর্তমানে সিঙ্গাপুরেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

লুক্সেমবার্গ‌ে প্রথম জেএন.১-এর খোঁজ মেলে। বর্তমানে, বিশ্বের ৩৮টিরও বেশি দেশে জেএন.১ পাওয়া গিয়েছে। তার সঙ্গে হু-হু করে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এখনও পর্যন্ত একজনের দেহেই জেএন.১-এর হদিশ মিলেছে। অর্থাৎ, পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে সাবধান হওয়া জরুরি। শীতের আমেজ আর বড়দিন-নতুন বছর আসতে চলেছে, চারদিকে উৎসবের মরশুম—এসব একটু অসতর্ক হলেই আপনি আক্রান্ত হতে পারেন কোভিডে।

জেএন.১ অতিরিক্ত স্পাইক মিউটেশন বহন করে ঠিকই। কিন্তু আপনার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা শক্তিশালী হলে, এই প্রজাতির সঙ্গে লড়াই করতে খুব একটা অসুবিধা হবে না। অর্থাৎ, জেএন.১ আপনার দেহে প্রবেশ করলেও আপনাকে গুরুতর অসুস্থ করে তুলবে না। কিন্তু তাতেও কোভিডের ভয়াবহতা এড়িয়ে যাওয়া যায় না। বিশেষত, যাঁরা শারীরিকভাবে দুর্বল, বয়স বেশি, তাঁদের নিয়মিত চেকআপের মধ্যে থাকতে হবে। ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে চলতে হবে।

এখনকার পরিস্থিতি দু’বছর আগের পরিস্থিতির থেকে আলাদা। বর্তমান জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালে কোভিড পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণ বেড ও অক্সিজেন বেড়েছে। তবে, গত এক-দেড় বছরে সেভাবে ভয় দেখায়নি কোভিড। কিন্তু বর্তমানে যে হারে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি বজায় রাখা এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। জ্বর-সর্দি, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, পেটের সমস্যা দেখা দিলে RT-PCR পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভাল। তবে, চার-পাঁচের দিনের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।