Type-2 Diabetes: ঘরে বসেই হু হু করে কমবে সুগার! শুধু করুন এই কয়েকটি কাজ…

এক্সারসাইজ করতে আগ্রহ নেই? সমস্যা নেই। ডায়াবেটিকরা বরং ঘর ঝাঁট দেওয়া, ঘর মোছার মতো কাজ করুন। এই ধরনের ঘরের কাজও যথেষ্ট ভালো এক্সারসাইজ।

Type-2 Diabetes: ঘরে বসেই হু হু করে কমবে সুগার! শুধু করুন এই কয়েকটি কাজ...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 19, 2021 | 7:16 AM

অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে হয় টাইপ-২ ডায়াবেটিস। অতএব সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাত্রাই পারে টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে। সুস্থ জীবনযাত্রার প্রধান শর্ত হল— ১) শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যালরি মেপে খাওয়া। এককথায় ডায়েটে নিয়ন্ত্রণ। ২) নিয়মিত এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করা। এদিকে এখন চলছে আত্মশাসন পর্ব। ফলে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এক্সারসাইজ করা যাচ্ছে না। তাই ঘরে বসে সহজ অথচ প্রভাবশালী এক্সারসাইজ সম্পর্কে জানতে হবে।

ডায়েট-এর নিয়ম

আলাদা করে কোনও খাবার খাওয়ার দরকার নেই। দৈহিক উচ্চতা অনুযায়ী শারীরিক ওজন ঠিক থাকলে ভাত, রুটি, সব্জি, মাছ (অর্থাৎ সুষম খাবার) খেলেই চলবে। তাছাড়া, বাজার খোলা আছে। অতএব সব্জি পেতে তেমন কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সুতরাং ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ-ডিনারে সব্জি বাদ দেবেন না। সব্জিই খান বেশি করে। সব্জিতে ক্যালোরি থাকে অল্প। ফলে শরীরে ক্যালোরি কম ঢোকে। এছাড়া পেটও ভর্তি থাকে। ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়াও রোধ হয়। আর হ্যাঁ প্রতিদিন একটি করে ফল খান। যে কোনও দামি ফল খেতে হবে না। মরশুমি ফল খেলেই চলবে।

ক্সারসাইজ

যাদের বাড়িতে হাঁটার উপযোগী ছাদ বা উঠোন আছে তাঁরা সেখানেই হাঁটুন। কতক্ষণ হাঁটবেন? পাক্কা ৩৫ মিনিট। গা থেকে যেন ঘাম বেরয়। এছাড়া বাড়িতে কোনও একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে ছোটবেলায় স্কুলে ফিজিক্যাল ট্রেনিং করার মতো এক্সারসাইজ করতে পারেন। এমনকী একজায়গায় দাঁড়িয়ে ডান-পা, বাম-পা ওপরে তুলে-নামিয়েও এক্সারসাইজ করা যায়। ঘাম ঝরানো যায় ওঠ-বোসের মতো এক্সারসাইজের সাহায্যেও। যাঁদের হাঁটুতে সমস্যা আছে তারা দেহের ওপরের অংশের ব্যায়াম করতে পারেন। মনে রাখবেন, সব মিলিয়ে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট এক্সারসাইজ করলে ভাল হয়। সকাল এবং বিকেল— দু’বেলা সময় ভাগ করে এক্সারসাইজ করলেও চলবে।

এক্সারসাইজ করতে আগ্রহ নেই? সমস্যা নেই। ডায়াবেটিকরা বরং ঘর ঝাঁট দেওয়া, ঘর মোছার মতো কাজ করুন। এই ধরনের ঘরের কাজও যথেষ্ট ভালো এক্সারসাইজ।

কেন এক্সারসাইজ জরুরি?

নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে খাবার খাওয়ার পর অনেকটা গ্লুকোজ পেশিতে প্রবেশ করতে পারে। লিভার থেকেও সুগার রক্তে কম মেশে। ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা চট করে বাড়তে পারে না। শরীর সুস্থ থাকে। সুগার থেকে অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতিও হয় না।

আরও পড়ুন: পিরিয়ড সম্পর্কিত এই ভ্রান্ত ধারণাগুলি এখনও মেনে চলেন অনেকেই, যা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত