Gastric Cancer: প্রায়শই অ্যাসিড, অ্যান্টাসিড খেয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা? হতে পারে পাকস্থলির ক্যানসার
Acidity: গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের প্রধান কারণ হল ক্রমাগত অ্যাসিড রিফ্লাক্স। সব সময় বেশি ক্যালোরি, তেল মশলা দেওয়া খাবার, বাইরের খাবার বেশি খেলে এই সমস্যা বেশি হয়। বিশেষত বিরিয়ানির সঙ্গে ফিরনি, কোল্ডড্রিংক এসব বেশি খেলে সমস্যা বাড়বে, কমবে না

পেট বা গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার বর্তমান দিনে খুবই গুরুতর একটি সমস্যা। যদি পেটে হঠাৎ করে কোনও কোষ তৈরি হয় বা আস্তরণ পড়ে তখনই এই সব সমস্যা বেশি বাড়ে। পেটের ক্যানসার পাকস্থলীর যে কোনও জায়গায় হতে পারে। পাকস্থলী আমাদের হজম করতে সাহায্য করে। পাকস্থলীর ক্যানসার কতটা গুরুতর তার উপর নির্ভর করে বাকি সবকিছু। অর্থাৎ শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও তা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা। পাকস্থলীর সমস্যা যেহেতু পেট থেকে শুরু হয় তাই অনেক দেরীতে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। পাকস্থলীর ক্যানসারের উপসর্গ পেটের সাধারণ সমস্যার মতো, যে কারণে তা শণাক্ত হতে অনেক বেশি সময় লেগে যায়।
অ্যাসিড রিফ্লাক্স খুব সাধারণ একটি সমস্যা। শীতের দিনে এই সমস্যা অনেক বেশি বাড়ে। আর পাকস্থলীর ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হল এই অ্যাসিড রিফ্লাক্স। এই সমস্যায় পেটে থাকা খাবার খাদ্যনালীতে ফেরত আসতে শুরু করে। যার ফলে অনেক রকম রোগ-উপসর্গ দেখা দেয়। পাকস্থলী ক্যানসারের প্রধান কিছু লক্ষণ রয়েছে। যেমন-
বারবার অম্বল হওয়া অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা গিলতে সমস্যা হওয়া বদহজম, খুব অল্প খাবারেই পেট ভরে যাওয়া চেষ্টা ছাড়াই খিদে কমে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া পেটের উপরের অংশে ব্যথা সব সময় ক্লান্ত লাগা
গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের প্রধান কারণ হল ক্রমাগত অ্যাসিড রিফ্লাক্স। সব সময় বেশি ক্যালোরি, তেল মশলা দেওয়া খাবার, বাইরের খাবার বেশি খেলে এই সমস্যা বেশি হয়। বিশেষত বিরিয়ানির সঙ্গে ফিরনি, কোল্ডড্রিংক এসব বেশি খেলে সমস্যা বাড়বে, কমবে না। ক্রনিক অ্যাসিড রিফ্লাক্স হলে পেটের আস্তরণের ক্ষতি হয় আর সেখান থেকে ক্যানসারের সম্ভাবনার বিকাশ ঘটে।
অ্যাসিড রিফ্লাক্স কি?
যখন খাবার আমাদের পাকস্থলীতে পৌঁছায়, তখন খাদ্যনালী স্ফিংটার নামক একটি পেশী বন্ধ হয়ে যায়। স্ফিঙ্কটার দুর্বল হয়ে গেলে খাবার হজমের জন্য যথাস্থানে পৌঁছতে পারে না। বাধা পায়। এর ফলে অম্বল, অ্যাসিডিটি, বমি এরকম অনেক সমস্যা হতে পারে।
গলায় ব্যথা, গিলতে কষ্ট, খেতে কষ্ট হলে, বমি হলে, খিদে কমে গেলে, এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পেটে ব্যথা থাকলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এমনকী কারণ ছাড়া ওজন কমে যাওয়া কোনও কাজের কথা নয়। এই সব উপসর্গ হতে পারে হার্ট অ্যার্টাকের লক্ষণও। তাই আগে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, পরামর্শ মেনে থাকুন।
অ্যাসিড রিফ্লাক্স এড়িয়ে চলতে হলে মশলাদার খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না। যে কোনও টক ফল, টমেটো, লেবু এসব বাদ রাখুন তালিকা থেকে। চকোলেট,অতিরিক্ত ভাজা খাবার এসব একেবারেই চলবে না। সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে





