Coronavirus: লং কোভিডও হতে পারে সুগার, হাই প্রেশারের কারণ! যা বলছে নয়া সমীক্ষা

Long Covid: কোভিড থেকে সেরে ওঠার দু মাসের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১.৩৮ গুণ বেশি। উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেড়েছে ১.১ শতাংশ। ডায়াবেটিস থাকলেই বাড়ছে হাসপাতালে ভতির ঝুঁকিও

Coronavirus: লং কোভিডও হতে পারে সুগার, হাই প্রেশারের কারণ! যা বলছে নয়া সমীক্ষা
বাড়ছে কোভিড পরবর্তী উচ্চরক্তচাপের সমস্যা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2022 | 5:37 PM

কোভিড থেকে সেরে উঠলেও শরীরে থেকে যাচ্ছে একাধিক সমস্যা। মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, শুকনো কাশি, চোখ জ্বালা, শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা, পায়ে ব্যথা এসব প্রায় ভোগাচ্ছে সেরে ওঠার ৬ মাস পর্যন্ত। অনেকের ক্ষেত্রে যোগ হয়েছে হৃদরোগও। যাঁর কোনও দিন হার্টের কোনও সমস্যা ছিল না তিনিই কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর আচমকাই ভুগছেন হার্টের অসুখে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার সমীক্ষায় উঠে এসেছে নয়া এই তথ্য। কোভিড আক্রান্ত হয়ে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই বাড়ি ফিরেছেন সুগারের সমস্যা নিয়ে। সেই সঙ্গে ছিল হাই ব্লাড প্রেসারের সম্ভাবনা। আবার যাঁদের সুগার কিংবা ব্লাড প্রেসারের সমস্যা ছিল তাঁদের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার পর বেড়েছে জটিলতা।

ডিসকভারি হেলথ লিমিটেডের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চালান। আর সেখানেই তাঁরা দেখান ডায়াবেটিস থাকলে হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনা বেড়ে যায় ২০ শতাংশ। এমনকী পরবর্তীতে বাড়ে মৃত্যুর ঝুঁকিও। তবে কোভিডের প্রকৃতি বুঝতে এখনও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। যাঁদের সংক্রমণ মৃদু ছিল তাঁদের ক্ষেত্রেও পরবর্তীতে দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে লং কোভিডের সম্ভাবনা। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সমীক্ষা অনুসারে আক্রান্তদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের ডায়াবেটিস,  উচ্চরক্তচাপের সমস্যা আসছে। যা আগে ছিল না। সমীক্ষা থেকে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী কোভিড থেকে সেরে ওঠার দু মাসের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে আগের তুলনায় প্রায় ১.৩৮ গুণ। উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেড়েছে ১.১ শতাংশ আর তীব্র সংক্রমণ থেকে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকিও বেড়েছে ১.১ গুণ।

এছাড়াও কোভিডের সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর ৩১% মাথাব্যথার সমস্যা, ১৪%ঘুমের সমস্যা এবং শ্বাসকষ্টের কথা বলেছেন। ১২ % মাথা ঘোরা ও ১০ % পেশী ও জয়েন্টে ব্যথার কথা জানিয়েছেন। রোজকারের কাজেও পড়েছে এর প্রভাব। কোনও কাজে মন দিতে না পারা, হাঁটা, দৃষ্টিশক্তিতে প্রভাব, ভুলে যাওয়ার প্রবণতা এই সবকিছুর জন্যই কিন্তু দায়ী কোভিড। এক্ষেত্রে উঠে এসেছে যত্নের প্রসঙ্গও। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠার পর অনেকেই নিজের শরীরের যত্ন নেননি, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, খাওয়া দাওয়া কোনওটাই করেননি। ফলে বেড়েছে জটিলতা। এমনকী শারীরিক কোনও সমস্যাতে এড়িয়ে গিয়েছেন চিকিৎসকের পরামর্শ।

তবে কোভিড রুখতে ভরসা কিন্তু টিকাকরণ। একথা বার বার বলেছেন চিকিৎসকেরা। কিছুক্ষেত্রে এরকমও হয়েছে যে যাঁরা আক্রান্ত হবার পর টিকা নিয়েছেন বা কোভিড টিকা নেননি তাঁদের ক্ষেত্রে কোভিডে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও কয়োকগুণ বেশি। যদিও এই তথ্য নিয়ে আরও গবেষণা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কোভিডে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর নিরিখে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। কোভিড ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট প্রথম ধরা পড়েছে সে দেশেই। তবে নিয়ম না মানলে কোভিড যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তার আঁচ প্রায় সকলেই পেয়েছেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।