COVID-19 mutant: কোভিডের এই নতুন মিউট্যান্ট XE সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াতে পারে! আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের

New Omicron variant: XE- এর আগে ওমিক্রনের BA.1 ও BA.2 ছিল মিউট্যান্ট হাইব্রিড। আর গবেষণা বলছে নতুন এই মিউট্যান্ট সাবভ্যারিয়েন্ট BA.2-এর তুলনাতেও অনেক বেশি সংক্রামক। প্রায় ১০ গুণ বেশি এর সংক্রমণের হার

COVID-19 mutant: কোভিডের এই নতুন মিউট্যান্ট XE সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াতে পারে! আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের
ফের মিলল নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 03, 2022 | 7:15 PM

প্রায় বিশ্বজুড়েই নিম্নগামী কোভিডের গ্রাফ। ওমিক্রনের বিভিন্ন সাবভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে যে সংক্রমণ চলছিল তা কিন্তু এখন অনেকটাই নিন্মগামী। কোভিড বিধিও আগের তুলনায় শিথিল করতে উদ্যোগ নিয়েছে বেশ কিছু দেশ। আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে সামগ্রিক বিশ্ব। যখনই আবার সব নতুন করে খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তখনই কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-নতুন সতর্কতা জারি করল। ওমিক্রনের নতুন মিউট্যান্ট XE-নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ হু (WHO)-এর। ওমিক্রনের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি COVID- এর যে কোনও স্ট্রেনের থেকে অনেক বেশি সংক্রামক, এমনই আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। গত বছর নভেম্বরের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রনের সংক্রমণ শুরু হয়। আর কয়েকদিনের মধ্যেই তা সুনামির আকারে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের সর্বত্র। জানুয়ারি মাসেই সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন ওমিক্রনে। ডেল্টার থেকেও কয়েকগুণ বেশি সক্রিয় ছিল এই ভাইরাস। আর ভারতে তৃতীয় তরঙ্গের জন্য দায়ী ছিল এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। পরবর্তীতে ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট BA.2- এর জন্যই কিন্তু সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। কিন্তু সম্প্রতি নতুন গবেষণা সামনে এসেছে। আর সেই গবেষণাতেই বলা হয়েছে XE- এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রামক মিউট্যান্ট।

এই XE- এর আগে ওমিক্রনের BA.1 ও BA.2 ছিল মিউট্যান্ট হাইব্রিড। আর গবেষণা বলছে নতুন এই মিউট্যান্ট সাবভ্যারিয়েন্ট BA.2-এর তুলনাতেও অনেক বেশি সংক্রামক। প্রায় ১০ গুণ বেশি এর সংক্রমণের হার। এই উচ্চ ট্রান্সমিসিবিলিটি হারের জন্যই কিন্তু এই ভ্যারিয়েন্টকে উদ্বেগ হিসেবে দেখছেন অনেকেই। আর বর্তমান কোভিড সংক্রমএর ক্ষেত্রে এই ভ্যারিয়েন্ট কিন্তু ৮৬ শতাংশ দায়ী। ওমিক্রনের এই হাইব্রিড ভ্যারিয়েন্টটি XE প্রথম ধরা পড়ে এই বছরের জানুয়ারিতে লন্ডনে। তারপর এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত প্রায় ৬০০ জনের খোঁজ মিলেছে। সেখান থেকেই অনুমান, এই ভ্যারিয়েন্ট ভবিষ্যতে আরও বেশি সংক্রমণ ছড়াবে।

নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণ সম্পর্কেও কিন্তু বিশদে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে এই ভাইরাসের প্রভাবে সংক্রমণ যে অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে তা কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। করোনাভাইরাস প্রাথমিক ভাবে প্রভাব ফেলছিল শ্বাসযন্ত্রে। কিন্তু ওমিক্রনের ক্ষেত্রে সরাসরি ফুসফুসে কোনও রকম প্রভাব পড়ছে না। তবে ক্লান্তি, মাথাঘোরা, পেশির ব্যথা, জ্বর , ডায়ারিয়া, বমি বমি ভাব এসব সমস্যা কিন্তু অনেকের মধ্যেই থাকছে। এই XE- ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি লন্ডনের গবেষণায় আরও দুই ভ্যারিয়েন্ট XD, XF-এর সন্ধান মিলেছে। আর এই দুই ভ্যারিয়েন্টও কিন্তু বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ডেনমার্কে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: COVID-19: হাতের আঙুলের দৈর্ঘ্যই বলে দেবে আপনার লং কোভিডে ভোগার কোনও আশঙ্কা রয়েছে কিনা…