Death Alert: রাতে টিভির সামনে বসেই ঘুমিয়ে পড়ছেন নাকি? সাবধান, ঘনিয়ে আসছে মৃত্যু…
Sleep And Death: ঘর অন্ধকার করে টিভি দেখার অভ্যাস আরও খারাপ। অন্ধকার ঘরে টিভির থেকে যে রশ্মি বের হয়, তা রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যেখান থেকে বাড়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
সারাদিনের ব্যস্ততার মধ্যে এক টুকরো অবসর খুঁজে পাওয়া কিন্তু বেশ দায়। আর তা-ই বেশিরভাগই রিল্যাক্স করার জন্য বেছে নেন ডিনারের পরের সময়টা। টিভিতে পছন্দের সিরিয়াল বা মোবাইলে সিরিজ় দেখতে-দেখতে রাতের খাবার খাওয়া বেশিরভাগের অভ্যাস। আবার এরকমও অনেকে আছেন, যাঁদের স্ক্রিনের দিকে না তাকিয়ে থাকলে ঘুমই আসে না। আর টিভি দেখতে-দেখতে কখন যে তাঁরা ঘুমের দেশে চলে যান, তা নিজেরাও জানেন না। এই বদভ্যাস অজান্তেই ডেকে আনছে মৃত্যু! আমেরিকার সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এমনটাই দাবি করেছে।
নর্থ-ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকরা মোট ৫৫২ জনের উপর একটি সমীক্ষা চালান। তাঁদের অধিকাংশের বয়সই ৬৩-৮৪ এর মধ্যে। টানা কয়েকদিন ধরে এঁদের স্বাস্থ্য ও ঘুমের উপর নজররদারি চালানো হয়। সেই সঙ্গে পরখ করা হয় তাঁদের রোজকার অভ্যাসও। এখান থেকেই প্রমাণিত: যাঁরা রাতে টিভি দেখতে-দেখতে ঘুমিয়ে পড়েন, তাঁদের মৃত্যু অন্যদের তুলনায় আগে আসে। এছাড়াও ঘুমের এহেন অভ্যাস ডেকে আনে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ-রক্তচাপের মত সমস্যা। এই পুরো গবেষণার তত্ত্বাবধানে যিনি ছিলেন, সেই প্রধান গবেষক ফিলিস জি যেমন জানিয়েছেন, সব মানুষেরই ঘুমের সময় আলো বন্ধ রাখা উচিত। কোনও রকম নাইট ল্যাম্পও নয়।
সমীক্ষা আরও বলছে, ঘর অন্ধকার করে টিভি দেখার অভ্যাস আরও খারাপ। অন্ধকার ঘরে টিভির থেকে যে রশ্মি বের হয়, তা রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যেখান থেকে বাড়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। এছাড়াও উচ্চ-রক্তচাপ, হৃদরোগের ঝুঁকি তো থেকে যায়। আমেরিকায় বেশির ভাগ মানুষেরই অভ্যাস টিভি খোলা রেখে ঘুমিয়ে পড়া। আর এই অভ্যাস থেকেই প্রতি বছর আমেরিকায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়। কারণ রাতে এভাবে ঘুমিয়ে পড়লে শরীরের ইনসুলিন রেজিসট্যান্স পাওয়ার কমে যায়।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪০.৭ শতাংশই রাতে টিভি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এঁদের প্রত্যেকের মধ্যেই পরবর্তীতে এসেছে ওবেসিটির সমস্যা। সেই সঙ্গে বেড়েছে হার্টের সমস্যার ঝুঁকিও। আর যারা এভাবে রাতে আলো জ্বালিয়ে ঘুমোন, তাঁদের মেটাবলিক রেটও কম হয়। এমনকী যাঁরা ঘর অন্ধকার করে ফোন ঘাঁটেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই একই সমস্যা দেখা যায়। অন্ধকার করে একটানা অন্তত ৫ ঘণ্টা ঘুমোতেই হবে। তবে শরীর থাকবে সুস্থ।
২০১৯ সালের একটি সমীক্ষা বলছে, ৩৬% কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ২৬% রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে নিজের ফোন চেক করেন। এতে শুধু ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে তা-ই নয়, ডেকে আনে মস্ত বড় ঝুঁকিও। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ৩ ঘণ্টা আগে ফোন বন্ধ করুন। কারণ ফোনের নীলচে আলোয় মন বুঝতেই পারে না আদতে তা দিন নাকি রাত।