Breastmilk Uses: শুধুমাত্র রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই নয়, সন্তানের ত্বক থেকে চুল ভাল থাকে মাতৃদুগ্ধের গুণে, জানতেন?
Breastmilk Storage: সানবার্ন দূর করতে দারুণ উপকারী মায়ের দুধ। ওটস, মধু আর স্তন্যদুগ্ধ একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করুন। অল্প দিনেই দূর হবে ট্যান
সন্তানের জন্য মাতৃদুগ্ধের কোনও বিকল্প নেই। শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা থেকে শুরু করে যাবতীয় জটিল শারীরিক সমস্যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে একমাত্র মায়ের দুধ। পৃথিবীর গভীর অসুখও সেরে যেত যদি সব মায়েরা তাঁর সদ্যজাতকে স্তন্যপান করাতেন। এমনকী গবেষণায় দেখা গিয়েছে কোভিড রুখে দেওয়ার মত ক্ষমতা রয়েছে বুকের দুধে। মাতৃদুগ্ধ একটা শিশুর জন্য কতখানি জরুরি তা বোঝাতেই প্রতি বছর ব্রেস্ট ফিডিং উইক পালন করা হয়। কৃত্রিম ফর্মুলা দুধের থেকে মায়ের দুধ যে অনেক বেশি সহজলভ্য এবং উপকারী একথা বার বার বলেন সব চিকিৎসকই। আর তাই জন্মের পর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সব শিশুকেই মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত। এতে মা এবং সন্তান উভয়েরই শরীর ভাল থাকে। ব্রেস্ট মিল্কে ডেকোসাহেক্সানোয়িক অ্যাসিড নামে একটি বিশেষ ধরনের উপাদান থাকে, যা শিশুর বুদ্ধির বিকাশে অত্যন্ত উপযোগী। তবে ব্রেস্ট মিল্কের আরও কিছু উপকারিতা রয়েছে বিশেষত বাচ্চার জন্য। যা কিন্তু অনেকেই জানেন না।
মাড়ি গঠনে সাহায্য করে- ব্রেস্ট মিল্ক অযথা নষ্ট না করে স্টোর করে রাখার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। বুকের দুধ আইস কিউবে দিয়ে ফ্রিজে জমিয়ে নিন। শিশুর দাঁত ওঠার সময় মাড়িতে এই বরফের টুকরো দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এতে মাড়ি শক্ত হবে, দাঁত তাড়াতাড়ি উঠবে। ফ্রিজে ৬ মাস পর্যন্ত এই বরফ কিউব রাখা যায়।
চোখের সংক্রমণ রুখতে- বাচ্চাদের চোখে পিঁচুটি বেশি পড়ে। তাই বলা হয় ইষদুষ্ণ জলে তুলো ভিজিয়ে বার বার মুছতে। এছাড়াও অনেক সময় দুধের শিশুদেরও চোখে সংক্রমণ হয়। নিয়মিত চোখ পরিষ্কার রাখা ভীষণ জরুরি। সেক্ষেত্রে সরাসরি ড্রপারের মাধ্যমে স্তন্যদুগ্ধ নিয়ে চোখের ফররে ফেলতে পারেন। বা সুতির পরিষ্কার কাপড় মায়ের দুধে চুবিয়ে নিয়ে পরিষ্কার করুন বাচ্চার চোখ।
নাকে সর্দি জমলে- বাচ্চাদের নাকে সর্দি জমলে খুবই কষ্ট হয়। সেই সময়ে তারা না পারে খেতে না ঘুমোতে। এক্ষেত্রে ন্যাজাল ড্রপ ব্যবহারের কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই ড্রপের পরিবর্তে কয়েক ফোঁটা স্তন্যদুগ্ধ নাকের মধ্য়ে দিন। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য তাড়াতাড়ি এই সমস্যা দূর করে দেয়। এছাড়াও স্তন্যপান করাতে পারলেও উপকার পাবেন।
ডায়াপার র্যাশ- একটানা ডায়াপার পরে থাকতে থাকতে বেশিরভাগ বাচ্চারই ডায়াপার র্যাশ হয়। এখন এর জন্য বিভিন্ন লোশন, পাউডার এসব পাওয়া যায়। এক্ষেত্রেও কিন্তু দারুণ কাজে আসে মায়ের দুধ। ২০১৩ সালে প্রকাশিত পেডিয়াট্রিক ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে মায়ের দুধে হাইড্রোকোর্টিসোন থাকে। ডায়াপার ক্রিম ব্যবহার করার আগে মায়ের দুধ অল্প বুলিয়ে দিতে পারলে ভাল কাজ হয়।
যে কোনও রকম সংক্রমণ থেকে- অনেক সময় গরম বা পোকামাকড়ের কামড় থেকে ত্বকে লাল, জ্বালাভাব থাকে। সঙ্গে ফুসকুড়িও হয়। এসব ক্ষেত্রে ভাল কাজ করে মায়ের দুধ। শুধু শিশুরাই নয, বড়দের ত্বকের জ্বালা-পোড়া ভাব থেকেও কিন্তু রক্ষা করে মাতৃদুগ্ধ। রোজ যদি মায়ের দুধ স্নানের জলে মিশিয়ে বাচ্চাকে স্নান করান তাহলে ডুল আর ত্বকও ভাল থাকবে।