Home Remedies For Pyorrhea: দাঁত হলুদ হয়ে যাচ্ছে, মুখ থেকে সর্বদা গন্ধ সঙ্গে মাড়ি থেকে রক্তপাত? ঘরোয়া এই পেস্টেই সারান পায়োরিয়া
Dental Issue: আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত ভাবে দাঁত না মাজলে দাঁতের গোড়ায় ময়লা জমে থাকে। দিনের পর দিন দাঁতের গোড়ায় খাবার, ময়লা জমতে থাকলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়
মুখ থেকে দুর্গন্ধ ওঠা একেবারেই ভাল ব্যাপার নয়। প্রাথমিক ভাবে আমাদের যে কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয় তার মধ্যে অন্যতম হল রোজ নিয়ম করে দাঁত মাজা। মুখ থেকে যদি সবসময় দুর্গন্ধ ওঠে, মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়, মাড়িতে ব্যথা হয় সেই সঙ্গে পেটের সমস্যা থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার পায়োরিয়া হয়েছে। পায়োরিয়া হলে মাড়ি আর দাঁতের গোড়ায় ব্যথা হয়। সংক্রমণ হয়। যে কারণে মাড়ি আলগা হয়ে যায়, সঙ্গে মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হয়। আর তাই এই রোগটি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন বিপজ্জনক তেমনই নিজেকেও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। মাড়ি ফুলে যায়, দাঁত থেকে পুঁজ বের হওয়া, দাঁতের ক্ষত সঙ্গে লিভারের সমস্যারও ঝুঁকি থেকে যায়।
কেন এই পায়োরিয়ার সমস্যা হয়?
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত ভাবে দাঁত না মাজলে দাঁতের গোড়ায় ময়লা জমে থাকে। দিনের পর দিন দাঁতের গোড়ায় খাবার, ময়লা জমতে থাকলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। খাওয়া-দাওয়ার কারণে দাঁত ও মাড়ির আঠালো কণা অ্যাসিডে পরিণত হয়। যেখান থেকে এই পায়োরিয়া রোগের জন্ম হয়। পায়োরিয়া রোগের মূলত পাঁচ লক্ষণ রয়েছে। তা হল ব্রাশ না করা, খাওয়ার পর মুখ না ধোওয়া, নিয়মিত ভাবে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ইত্যাদি। আর তাই চেষ্টা করুন ঘরোয়া উপায়েই এর প্রতিকার করার।
এই রোগ থেকে সেরে ওঠার প্রাথমিক শর্ত হল নিজেকে পরিষ্কার থাকতে হবে সেই সঙ্গে নিয়মিত ভাবে মুখ ধুতে হবে। সেই সঙ্গে মেনে চলুন এই ঘরোয়া টোটকাও।
গোলমরিচ গুঁড়ো করে ওর মধ্যে একটু নুন মিশিয়ে রোজ দাঁত মাজুন। এতেও পায়োরিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বেদানার বীজ গুঁড়ো করে ওর মধ্যে গোলমরিচ, নুন মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এবার তা দিয়ে দাঁত মাজতে পারেন।
পেয়ারা পাতার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা দাঁতের টনিক হিসেবেও কাজ করে। পেয়ারা পাতা নিয়ম করে চিবিয়ে খেতে পারলে এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।