Belly Fat: বহরে বাড়ছে মধ্যপ্রদেশ? এখন থেকে না কমালে পড়তে পারেন মুশকিলে

Weight Loss Tips: ওজন কমাতে হলে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে। ঘুম কম হলে, ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া না হলে সেখান থেকেই কিন্তু আসে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা।

Belly Fat: বহরে বাড়ছে মধ্যপ্রদেশ? এখন থেকে না কমালে পড়তে পারেন মুশকিলে
পেটের মেদ ঝরিয়ে না ফেলতে পারলে বিপদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 18, 2022 | 6:25 AM

এমন অনেক মানুষই আছেন যাঁদের খুব শখ করে কেনা দু’বছর আগের জামা কোনও ভাবনেই আর শরীরে আঁটছে না। অর্থাৎ লকডাউনের আগে কেনা নতুন জামা একই ভাবে বাক্সবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে আলমারিতে। যখন আবার সব স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, স্কুল-কলেজ খুলছে তখন সেই জামাই দেখা গেল আর কোনওভাবে শরীরে আঁটছে না। এমমটা শুধু আপনার সঙ্গেই নয়, অনেকের সঙ্গেই হয়েছে। গত দু’বছরে আমাদের রোজকার অভ্যাসে এসেছে অনেক রকম পরিবর্তন। বেড়েছে মানসিক চাপ। সেই সঙ্গে ডায়েট, ঘুমের অভ্যাস, শরীরচর্চা এবং রোজকার রুটিনে এসেছে একাধিক পরিবর্তন। সুস্থ শরীরের জন্যই কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ ভাবে জরুরি। কারণ ওজন একবার বাড়তে শুরু করলেই হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, পিত্তথলির সমস্যা, শ্বাসকষ্ট একাধিক কিছু উড়ে এসে জুড়ে বসবে শরীরে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে মানসিক উদ্বেগ, বিষন্নতা। যে কারণে কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে মন ভাল থাকে আর সেই প্রভাব কিন্তু পড়ে আমাদের রোজকার জীবনযাত্রাতেও।

আর এই একবার ওজন বাড়তে শুরু করলেই কিন্তু সবচেয়ে বেশি চর্বি জমা হয় পেটে। আর পেটে এই মেদ জমা কিন্তু মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। সেই সঙ্গে ডেকে আনে একাধিক সমস্যাকে। অতিরিক্ত চর্বি বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের ঝুঁকি। সেই সঙ্গে উচ্চরক্তচাপ, স্ট্রোক, টাইপ ২ ডায়াবিটিস-সহ একাধির সমস্যা আসতে পারে শরীরে। এছাড়াও হাঁপানি, স্তন ক্যানসার, মলাশয়ের ক্যানসারের জন্য দায়ী কিন্তু এই পেটের মেদ। যে সব কারণে বেড়ে যায় এই মেদ জমার আশঙ্কা-

ট্রান্সফ্যাট বেশি খেলে- কম প্রোটিন, উচ্চ কার্ব এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খেলে সেখান থেকেও কিন্তু আসে একাধিক শারীরিক সমস্যা। যার ফলে মেদ জমতে থাকে। এছাড়াও বিস্কুট, মাফিন, বেকারির খাবার, ফাস্টফুড এসব বেশি পরিমাণে খেলে সেখান থেকেও কিন্তু আসে এই একই সমস্যা।

ব্যায়ামের অভাব- নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চা না করলে সেখান থেকেও কিন্তু আসে একাধিক সমস্যা। আর যত পরিমাণ ক্যালোরি খাওয়া হচ্ছেল তা যদি খরচা না হয় তাহলে ওজন বাড়বেই।

স্ট্রেস- স্ট্রেস থেকে ওজন, ভুঁড়ি দুই সমানুপাতিক হারে বাড়ে। স্ট্রেস বাড়লেই বাজে খাওয়া দাওয়া বেশি হয়, ফ্যাট-ক্যালোরি অনেক বেশি খাওয়া হয়, কর্টিসোল হরমোনগুলো ঠিকমতো কাজ করে না। এছাড়াও পেটের চারপাশে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হতে শুরু করে। ঘুম কম হয়। যাঁরা নাইট শিফটে কাজ করেন তাঁদের মধ্যে কিন্তু এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এছাড়াও চাপে থাকলে অনেক সময় মদ্যপান, ধূমপানের পরিমাণ বেড়ে যায়। সেখান থেকেও কিন্তু ক্ষতি হয় শরীরের।

কম ঘুম- কম ঘুমের সমস্যা আজকাল অনেকেরই হয়। ঘুম ঠিকমতো না হলে কিন্তু ফ্যাট জমতে বাধ্য। বিশেষত যাঁদের শিফটিং ডিউটি, নাইট শিফটে কাজ করতে হয় তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি। কারণ ঘুম কম হলে কিন্তু সেখান থেকে আসে একাধিক সমস্যা।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। 

আরও পড়ুন: Cardamom: রুচি বাড়াতে জুড়ি নেই এই মশলার, স্তন ক্যানসার রুখতেও কার্যকরী এলাচ! জানতেন?