Alzheimer: শরীরিকভাবে ফিট থাকলে কমে অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকি! বলছে সমীক্ষা
Alzheimer's disease: বয়সকালে বাড়ে অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকি। আর তাই প্রথম থেকেই সচেতন থাকতে হবে। পুষ্টিকর খাবার রাখুন রোজকার ডায়েটে। সেই সঙ্গে শরীরচর্চাও কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ
বয়স বাড়লেই সম্ভাবনা বাড়ে অ্যালঝাইমার্সের (Alzheimer) মত অসুখের। পরিবারে কারোর অ্যালঝাইমার্স হলে তার সঙ্গে কিন্তু ভুগতে হয় বাড়ির সদস্যদেরও। অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত (Alzheimer’s disease) রোগী কিছু মনে রাখতে পারেন না। ভাষা গুলিয়ে ফেলেন কথা বলার সময়। আবোল তাবোল কথা বলেন। ভোগেন অনিদ্রায়। গবেষকরা দেখেছেন, এই রোগীদের মস্তিষ্কের একাংশে বিটা-অ্যামাইলয়েডের একটি আস্তরণ পড়ে। স্নায়ুকোষগুলির মধ্যে বিটা-অ্যামাইলয়েড প্রোটিন বেশি পরিমাণে জমা হয়ে গেলেই ওই আস্তরণের সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি নতুন একটি সমীক্ষা সামনে এসেছে। আর সেখানেই বলা হয়েছে, অ্যালঝাইমার্স রুখতে ভূমিকা রয়েছে ফিটনেসের। যাঁরা তুলনায় বেশি ফিট তাঁদের মধ্যে এই সব সমস্যা কিন্তু অনেক কম আসে। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ নিউরোলজির তরফে এই সমীক্ষা চালানো হয়। আর সেখানেই উঠে এসেছে, যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা (Fitness) করেন তাঁদের ক্ষেত্রে অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকি অনেকটাই কমেছে। এছাড়াও যাঁদের শরীর সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ, কোনও রকম অসুবিধে নেই তাঁরাও কিন্তু তুলনায় অ্যালঝাইমার্সে কম ভোগেন। সমীক্ষাটি প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ মানুষের উপর চালানো হয়। যাঁদের বয়স ছিল ৬১। টানা ৯ বছর ধরে তাঁদের উপর সেই সমীক্ষা চালানো হয়।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী সকলের কার্ডিওরেসপিরেটরি পরীক্ষা করানো হয়। আর এই পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হয় কার পেশিতে কতটা পরিমাণ অক্সিজেন যাচ্ছে। এমনকী ব্যায়ামের পর পেশী কতখানি অক্সিজেন শোষণ করতে পারছে তাও দেখা হচ্ছে এই পরীক্ষায়। অংশগ্রহণকারীদের ৫ টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছিল। ট্রেডমিলে কে কতক্ষণ সময় কাটালেন এবং কার ফলাফল কেমন তার উপরই নির্ধারণ করা হয়েছিল এই ফিটনেসের মাত্রা। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কতখানি শারীরিক পরিশ্রম করতে পারেন তাও দেখা হয়। মধ্যবয়সী এবং বয়স্কদের জন্য সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন প্রতি সপ্তাহে আড়াই ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে শরীরচর্চা করানো হত।
আর এই পরীক্ষার পর দেখা যায়, যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেছেন, সবদিক থেকে ফিট তাঁদের মধ্যে অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু সবচাইতে কম। অর্থাৎ প্রতি ১০০০ জনে মাত্র ৯.৫ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন। এবং এই ভাবে গবেষণায় দেখা যায়, যাঁরা বছরের পর বছর ধরে এভাবে শরীরচর্চা করে চলেছেন তাঁদের মধ্যে ক্রমাগত কমতে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রথম যেখানে আক্রান্ত ছিল ৮.৫ শতাংশ পরবর্তীতে তা কমে দাঁড়ায় ৭.২ শতাংশ। আর সেখান থেকেই তাঁরা সিদ্ধান্তে আসেন, যাঁরা শারীরিক ভাবে ফিট তাঁদের মধ্যে অ্যালঝাইমার্সের সমস্যা ৮৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছে। অ্যালঝাইমার্সের এখনও পর্যন্ত সঠিক কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা নেই। যে কারণে নজর দিতে হবে পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়াতে। সেই সঙ্গে শরীরচর্চা করলে কিন্তু অনেকটাই ঝুঁকি এড়ানো যায়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Coronavirus vaccine: ৫-১১ বছর বয়সীদের জন্য ততটাও কার্যকরী নয় ফাইজার ভ্যাকসিন, বলছে সমীক্ষা