Bladder Cancer Awareness Month: বারবার বাথরুমে ছুটেও মিটছে না হচ্ছে না প্রস্রাবের সমস্যা! ব্লা়ডার ইনফেকশন নাকি অন্য সমস্যা?

Bladder Infection: প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত একেবারেই ভাল লক্ষণ নয়। যদিও এর সঙ্গে বয়স, লিঙ্গ সব কিছুই সম্পর্কিত। আর তাই যদি এই সমস্যা দেখেন তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যান। কারণ তা কিন্তু ক্যানসারের লক্ষণ

Bladder Cancer Awareness Month: বারবার বাথরুমে ছুটেও মিটছে না হচ্ছে না প্রস্রাবের সমস্যা! ব্লা়ডার ইনফেকশন নাকি অন্য সমস্যা?
প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হলে সাবধান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 07, 2022 | 12:06 PM

বার বার প্রস্রাব পাচ্ছে কিন্তু কিছুতেই তা ক্লিয়ার হচ্ছে না। প্রস্রাব করার পর মনে হচ্ছে আরও একটু হলে ভাল হত, অনেকে বাথরুমে বসে অপেক্ষাও করছেন তবুও কিছুতেই শান্তি হচ্ছে না। মনে হচ্ছে কয়েক ফোঁটা প্রস্রাব যেন জমা থেকে যাচ্ছে। এই অস্বস্তি একমাত্র যার হয় সেই বোঝে এর কষ্ট কতখানি। এইভাবে দিনের পর দিন প্রস্রাব মূত্রথলিতে জমতে থাকলে ইনফেকশনের সম্ভাবনা বাড়ে। সেই সঙ্গে মূত্রের রংও পরিবর্তিত হয়ে যায়। সঙ্গে ব্যথা, জ্বালা, তলপেটে ব্যথা এই সব লক্ষণও থাকে। মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা একটু বেশিই দেখা যায়। ব্লাডার বা মূত্রনালীতে যদি কোনও কারণে সংক্রমণ হয়ে থাকে তখনই বাড়ে ইনফেকশনের সম্ভাবনা। এমন অনেকেই আছেন যাঁরা বছরে অন্তত একবার আক্রান্ত হন এই ব্লাডার ইনফেকশনে। আবার অনেকের সমস্যা লেগেই থাকে। তবে এই সমস্যা হলে প্রথম থেকেই সতর্ক হতে হবে।

হিসেব বলে,প্রতি বছর ৫,৭০,০০০ জন মানুষ মূত্রাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন মানু, এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত সচেতন নন। মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত ( হেমাটুরিয়া) হলেই সতর্ক হন। মূত্রাশয় বা ব্লাডারের ক্যানসারের এটাই হল প্রাথমিক লক্ষণ। আর এই ক্যানসার ধরা পড়ে একেবারে শেষের দিকে। যেখান থেকে সঠিক চিকিৎসা সম্ভব হয় না সব সময়। বর্তমানে ভারতেও বেড়েছে মূত্রাশয়ে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে বিশ্বজুড়ে পুরু।দের তুলনায় মহিলারাই বেশি আক্রান্ত হন। অনেকে বিষয়টিকে পাত্তা দিতে চান না। মহিলাদের ইউরিন ইনফেকশন খুব সাধারণ সমস্যা। সেই সঙ্গে বেশ কিছু গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যাও থাকে। তাই সমস্যা হলে প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কেন মহিলাদেরই ব্লাডারে ইনফেকশন হয়? 

ব্লাডার ইনফেকশনের কারণ হল একরকম ব্যাকটেরিয়া। ৯০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়াই এই সংক্রমণের প্রধান কারণ। টয়লেট থেকেও আসতে পারে ব্লাডারে ইনফেকশনের সমস্যা। আরও যা কিছু কারণ থাকে এর নেপথ্যে-

ভিটামিনের অভাব- প্রতিটি মানুষের শরীরেই ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা আছে। প্রয়োজনের তুলনায় ভিটামিন কম থাকলে শরীরে একাধিক সমস্যা হয়। শরীরে যদি ভিটামিন এ আর ভিটামিন বি ১২ এর অভাব হয় তাহলে সেখান থেকে দেখা দিতে পারে একাধিক সমস্যা। এই দুই ভিটামিন শরীরে ঠিক পরিমাণে না থাকলে মিউকাস মেমব্রেনে সমস্যা তৈরি হয়। ফলে ব্যাকটেরিয়া সহজেই আক্রমণ করে।

অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে- যাঁরা বেশি মিষ্টি খান যাঁদের সুগারের সমস্যা রয়েছে তাঁদের মধ্যে ব্লা়ডারের ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও যাঁদের জীবনযাত্রা অনিয়ন্ত্রিত, তেল-মশলাদার খাবার বেশি খান, ফাস্ট ফুড খান, অ্যালকোহল খান তাঁদের ক্ষেক্ষে ইনফেকশনের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

হরমোন পিল- যাঁদের পিসিওএসের সমস্যা রয়েছে বা কোনও হরমোনের সমস্যা রয়েছে তাঁদের নিয়মিত ভাবে ওষুধ খেতে হয়। বার্থ কন্ট্রোল পিল থেকেও এই সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও মেয়েদের ব্লাডার ইংফেকশনের অন্যতম কারণ হল যৌন সংসর্গ। কন্ডোম থেকেও ছড়াতে পারে ইনফেকশন। বাড়তে পারে ব্যাথাও। তাই আগে থেকে সতর্ক হন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না কোনও মতেই।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।