Skins of fruits and vegetables: ফল ও সবজির সব খোসা ফেলে দিচ্ছেন নাকি! পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে কত উপকারী জানা আছে?

Health Benefits: শুধু স্বাস্থ্যের দিক থেকেই নয়, খোসা না ছাড়িয়ে খাওয়া ফলে আপনার হাতে সময়ও অনেকটা বেঁচে যাবে। সুস্বাদু না হলেও স্বাস্থ্যকর খোসার পুষ্টিগুণ দেখলে চমকে যাবেন আপনি।

Skins of fruits and vegetables: ফল ও সবজির সব খোসা ফেলে দিচ্ছেন নাকি! পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে কত উপকারী জানা আছে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 07, 2022 | 8:10 AM

বেশিরভাগ ফল ও সবজি (Fruits and Vegetables) রয়েছে, যেগুলি আমরা সাধারণত খোসা ছাড়িয়েই খাই। সবজি রান্না করা আগে সবজিগুলি থেকে খোসা (Peel) ছাড়িয়ে, পরিস্কার করা হয়। শরীরের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধির (Healthy Life) উদ্দেশ্যে খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া হয়। কিন্তু এবার থেকে খোসা ছাড়াবেন না। খোসা বাদ দিলে খাবারের কিছু সম্ভাব্য পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হয়। তবে এটাও ঠিক, কয়েকটি নির্দিষ্ট কিছু ফলের খোসা খুব ভাল স্বাদের নাও হতে পারে। অনেকেই জানেন না যে, কোনও কোনও ফল এবং সবজির খোসারও পুষ্টিগুণ দারুণ। তাই দেহে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে সেই সব ফল ও সবজির খোসা-সহ খাওয়া উচিত। শুধু স্বাস্থ্যের দিক থেকেই নয়, খোসা না ছাড়িয়ে খাওয়া ফলে আপনার হাতে সময়ও অনেকটা বেঁচে যাবে। সুস্বাদু না হলেও স্বাস্থ্যকর খোসার পুষ্টিগুণ দেখলে চমকে যাবেন আপনি।

স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণে ভরা ফল ও সবজির খোসা

এখানে বেশ কিছু ফল ও সবজির খোসা রয়েছে, সেগুলি এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হল…

আম- আমের শাঁসটাই হল সেরা অংশ। কিন্তু পুষ্টিগুণে আমের খোসাও খুব একটা পিছিয়ে নেই। আমের খোসা খাওয়া নিরাপদ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ হয়ে থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দেহের ইমিউনিটি বাড়াতে, শরীরের নানা ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে। পাকা ও কাঁচা আমের খোসা রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আয়রন। এছাড়া ফাইবার থাকায় হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। আমের খোসা ক্যানসার ও কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।

কমলালেবু: শীতকালে কমলালেবুর চাহিদা থাকে তুঙ্গে। কমলালেবুর খোসা যে ত্বকের জন্য বেশ উপকারী তা সকলেরই জানা, কিন্তু স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ তা হয়ত জানেন না অনেকেই। আপনি কি জানেন যে এর খোসা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এবং নিরাপদে খাওয়া যায়? এই সাইট্রাস ফলের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-সি, এ, ফাইবার এবং পেকটিন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কমলালেবুর খোসার কোনও বিকল্পে নেই। ফুসফুস ও হৃদরোগীদের জন্য খোসা-সহ কমলালেবু অত্যন্ত পুষ্টিকর বলে মানা হয়।

আলু: সবচেয়ে বেশি খাওয়া সবজির মধ্যে একটি হওয়ায় সারা বিশ্বে আলু বিভিন্ন উপায়ে প্রস্তুত করা হয়। আলুর খোসা ছাড়িয়েই নানান পদ রান্না করা হয়। আর এটাই বিশ্বের সর্বত্র তাই করা হয়। খোসা ছাড়িয়ে, পরিস্কার করে, টুকরো টুকরো কেটে রান্নার জন্য প্রসতুত করা হয়। তবে অনেকেই জানেন না যে এই আলুর খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ভিটামিন ই। তবে বাঙালির ঘরে আলুর খোসার তরকারি, আলুর খোসা ভাজা খাওয়ার চল রয়েছে। পটাশিয়াম, আয়রন এবং নিয়াসিনে ভরপুর আলু শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে ও লোহিত রক্তকণিকার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

কিউয়ি- বিদেশি ফল হলেও, এখন আর অচেনা নয়। টক-মিষ্টির স্বাদে ভরা এই ফলটি স্যালাদে বা জুসের আকারে বেশি খাওয়া হয়। সাধারণত কিউয়ি শরীরের ইমিউিটি বৃদ্ধিতে দারুণ কার্যকর। তবে এই ফলের খোসায় রয়েছে ফাইবার, ফোলেট এবং ভিটামিন ই। যা ক্যানসার ও ডায়াবেটিস রোগকে প্রতিহত করতে চেষ্টা করে।

শসা: শসার খোসায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার ও ভিটামিন। পটাশিয়াম ও ভিটামিন-কে সমৃদ্ধ শসার খোসা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে ও শরীরের প্রোটিনের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া শসার খোসা ওজন কমাতেও দারুণ কার্যকরী। পরের বার যখন আপনি আপনার সালাদে যোগ করার জন্য শসা কাটবেন, তখন খোসা ছাড়বেন না।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।