Keto Diet: পুজোর আগে ওজন ঝরাতে কিটো ডায়েট মেনে খাবার খাচ্ছেন? এই ৫ নিয়ম মানছেন তো!
Weight Loss Tips: কেটোজেনিক ডায়েট মেনে চললে আপনি ৬ মাসের মধ্যে ২০ কেজি পর্যন্ত ওজন কমাতে পারেন। ওজন কমানোর জন্য কেটোজেনিক ডায়েটে কার্বস ও প্রোটিনের পরিমাণ একদম কমিয়ে দেওয়া হয়। ৮০ শতাংশ ফ্যাটের উপর নির্ভর করে ওজন কমাতে হয়।

পুজোর আগে অনেকেই মনোযোগ দিয়েছেন ডায়েট ও শরীরচর্চার উপর। উদ্দেশ্য একটাই: ওজন কমাতে হবে। তাই জিমে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করার পাশাপাশি প্রিয় খাবারকেও ‘টা-টা’ বলতে হচ্ছে। যেহেতু হাতে আর একমাসও বাকি নেই, তাই অনেকেই বেছে নিচ্ছে কিটো ডায়েটকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অক্ষরে-অক্ষরে কেটোজেনিক ডায়েট মেনে চললে কম সময়ে বেশি ওজন ঝরানো সম্ভব। এমনকী কসরত ছাড়াই আপনি ৬ মাসের মধ্যে ২০ কেজি পর্যন্ত ওজন কমাতে পারেন। কিন্তু কিটো ডায়েট মেনে চলা মোটেই সহজ কাজ নয়।
গত কয়েক বছরে কিটো ডায়েটের চাহিদা বেড়েছে। সাধারণত সুস্বাস্থ্য ও ওজনকে বশে রাখার জন্য কার্বোহাইড্রেটেড, প্রোটিন ও ফ্যাট তিন উপাদানই জরুরি। কিন্তু ওজন কমানোর জন্য কেটোজেনিক ডায়েটে কার্বস ও প্রোটিনের পরিমাণ একদম কমিয়ে দেওয়া হয়। ৮০ শতাংশ ফ্যাটের উপর নির্ভর করে ওজন কমাতে হয়। মূলত শরীর কার্বসকে ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদনের জন্য। কিন্তু কার্বস পরিমাণ কমে যাওয়ার দেহ ফ্যাট গলিয়ে শক্তি উৎপাদন করে। এতে মেদ ঝরানো অনেক সহজ হয়ে যায়। যেহেতু কিটো ডায়েটে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে এবং প্রোটিন ও কার্বস প্রায় নেই বললেই চলে, সেখানে আপনাকে মানতে হবে বিশেষ কিছু নিয়ম।
১) কেটোজেনিক ডায়েট সকলের জন্য নয়। তাই কিটো ডায়েট শুরু করার আগে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া, নিজের মতো করে কিটো ডায়েট মেনে চললে আপনিই বিপদে পড়বেন।
২) কেটোজেনিক ডায়েটে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, আপনি প্রোটিন ও কার্বস একদম রাখবেনই না। আপনার রোজের খাদ্যতালিকায় ৭০-৭৫% ফ্যাট, ২০-২৫% প্রোটিন ও ৫-১০% কার্বোহাইড্রেট রাখুন।
৩) কেটোজেনিক ডায়েটে মাছ, মাংস, ডিমের পাশাপাশি শাকসবজি, ফল, বাদামও রাখতে হবে। আপনাকে মূলত স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উপর জোর দিতে হবে। আপনার খাদ্যতালিকায় এমন ভাবে সাজাতে হবে, যাতে দেহে কোনও পুষ্টির ঘাটতি না তৈরি হয়।
৪) স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হিসেবে অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল, নারকেল তেল এবং সামুদ্রিক মাছ বেছে নিন। মাছের তেলেও হেলদি ফ্যাট রয়েছে। প্রোটিনের উৎস হিসেবে চিকেন, মাছ ও ডিমকে বেছে নিন। প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়িয়ে চলুন।
৫) কেটোজেনিক ডায়েটে জরুরি হল হাইড্রেটেড থাকা। প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এতে শরীর জলশূন্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি দেহে খনিজ পদার্থের ঘাটতিও তৈরি হবে না। তাই জলের পাশাপাশি সীমিত পরিমাণে ইলেক্ট্রোলাইটও পান করন।





