Menstrual Cups: মেন্সট্রুয়াল কাপ কী? কতটা নিরাপদ এর ব্যবহার, কীভাবেই বা ব্যবহার করবেন?
Pros and Cons of Menstrual Cups: মেন্সট্রুয়াল কাপ নিয়ে যথাযথ প্রচার নেই বলে অনেকের মধ্যে কিন্তু ঠিকভাবে ধারণাও নেই। কিন্তু এই কাপ ব্যবহার যেমন নিরাপদ তেমনই কিন্তু পরিবেশবান্ধবও
ঋতুস্রাবের সময়ে একজন মহিলা তাঁর সারাজীবনে গড়ে ১৬ হাজারেরও বেশি স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। শুধুমাত্র ভারতেই ১২.৩ বিলিয়ন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা হয় আর যে কারণে ভারতে প্রতি বছরে মাসিক বর্জ্যের পরিমাণ ১১৩,০০০ টন। এবং তা কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জমা হয় জমিতেই। এই ন্যাপকিনের মধ্যে রয়েছে বেশিরভাগই ক্ষতিকারক বিষাক্ত পদার্থ। সেই সঙ্গে রয়েছে প্লাস্টিকের মত সিন্থেটিক উপাদানও। যা পচন ধরতে দীর্ঘদিন সময় লাগিয়ে দেয়। এতে যে শুধুমাত্র পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে তা নয়, সেই সঙ্গে দূষণও ছড়াচ্ছে। পাশাপাশি মাসিক থেকে ছড়ানো এই দূষণ কিন্তু প্রভাব ফেলে মহিলাদের স্বাস্থ্যের ( Menstrual Hygiene) উপরেও। পরবর্তীতে যেখান থেকে আসে ক্যানসারের ঝুঁকি
যেখান থেকেই কিন্তু ট্যাম্পুন বা মেনস্ট্রুয়াল কাপের ব্যবহার শুরু হয়। মেন্সট্রুয়াল কাপ যতখানি নিরাপদ, ততখানি টেকসই। যে কারণে তা স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বান্ধব এবং ব্যবহার করতেও কিন্তু কোনও অসুবিধে হয় না। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্য আর সঠিক গাইডলাইন নেই বলে অনেকেই এই মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করতে ভয় পান। অনেকেরই মনে হয় মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যাবহার করলে তাঁদের স্বাস্থ্যের ৭তি হবে। কিন্তু এই কাপ যে কতখানি কার্যকর সেই বিষয়ে সঠিক ধারণা নেই অনেকের মধ্যে।
জানুন এই মেন্সট্রুয়াল কাপ আদতে কি, কীভাবেই বা কাজ করে
মেন্সট্রুয়াল কাপ হল মেডিক্যাল-গ্রেড সিলিকন বা ল্যাটেক্স রবার দিয়ে করা হয়। যা পুনরায় ব্যবহার করা যায়। এর আকৃতি হয় ফানেলের মত। এই ফানেলের মধ্যেই জমা হয় মাসিক বর্জ্য। মাসিকের শুরু দিনে এই কাপ ভাঁজ করে যোনিতে প্রবেশ করানো হয়। এই কাপ ১০-১২ ঘন্টা টানা ব্যবহার করা যায়। ব্যবহার করতে যেমন অসুবিধে হয় না তেমনই এই কাপ থেকে কোনও সংক্রমণ ছড়িয়েছে এরকম কোনও ঘটনাও কিন্তু এখনও পর্যন্ত শোনা যায়নি। মাসিকের দিনগুলোতে পরিষ্কার জলে ভাল করে ধুয়ে নিয়ে মুছে নিন। মাসিক শেষ হলে জলে অ্যান্টিসেপটিক কোনও কিছু দিয়ে তা ভাল করে ফুটিয়ে নেবেন। তবে কাপ ব্যবহারের আগে মহিলাদের যোনিপথ এবং হাতও কিন্তু পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে।
সঠিক আকার নির্বাচন কী ভাবে করবেন
এক্ষেত্রে কিন্তু প্রত্যেক মানুষের চাহিদা ভিন্ন। প্রত্যেকের মাসিক সঠিক সময়ে হয় না কিংবা মাসিকের পরিমাণও সমান নয়। আর তাই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে মহিলারা যে সাইজের কাপ ব্যবহার করবেন তার তুলনায় যাদের সদ্য মাসিক শুরু হয়েছে তাদের কাপের আকৃতি ছোট হবে। যে সব মহিলারা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তাঁদের যোনিপথের আকৃতির জন্যই কিন্তু বড় মাপের কাপ লাগে। তুলনায় যাঁরা সি-সেকশনের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে কাপ ছোট লাগে। এই মেন্সট্রুয়াল কাপ যেমন খরচা কমায় তেমনই কিন্তু পরিবেশ দূষণের হাত থেকেও রক্ষা করে। বাড়ির সামনের দোকান বা অনলাইন যে কোনও কোথাও থেকে কিনতে পারেন এই কাপ।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।