যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে একাধিক শারীরিক সমস্যা। যার মধ্যে প্রথম তিনেই রয়েছে ডায়াবেটিস, ওবেসিটি এবং কোলেস্টেরল। রোজকার জীবনযাত্রায় মাত্রাতিরিক্ত চাপ, অত্যধিক জাঙ্ক ফুড খাওয়া, রাতে জেগে থাকা এবং কোনও রকম শরীরচর্চা না করা এর প্রধান কারণ।
কোলেস্টেরল আমাদের শরীরেই থাকে। একটা কোলেস্টরল (HDL)ভাল অন্যটি খারাপ ( HDL)। এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে শুরু করলেই মুশকিল। কোলেস্টেরল আদতে মোম জাতীয় পদার্থ। রক্তনালীতে তা জমতে শুরু কললে রক্তপ্রবাহ বাধা পায়। সেখান থেকে তখন বেড়ে যায় স্ট্রোকের সমস্যা।
রোজ কোলেস্টেরল নিয়ে মানুষকে সতর্ক করার চেষ্টা করা হলেও সকলে এখনও নিজের শরীর নিয়ে সচোতন নন। সময়মত রক্তপরীক্ষাও করান না। ফলে কোলেস্টেরল বাড়তে থাকলেও তা ধরা পড়ে না। আচমকা শরীর অসুস্থ হলে তখনই সকলের টনক নড়ে। কোলেস্টেরল বাড়লে রোজকার ডায়েটে আনতে হবে পরিবর্তন। যদি বাড়িতে কারোর এই সমস্যা থাকে তাহলে আগেই সাবধান হতে হবে।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল হল ওটস। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। এই ফাইবার ধমনীতে কোলেস্টেরল জমতে দেয় না। ফলে রোজ ওটস খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
কম দামে পুষ্টিকর খাবার হল সোয়াবিন। রোজ সকালে বাদাম, ছোলা,মুগ, সোয়াবিন ভিজিয়ে রেখে একমুঠো খান। সোয়াবিনের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। আছে অ্যালকালয়েড। এই উপকরণই কমিয়ে দেয় কোলেস্টেরলের মাত্রা। খেতে পারেন সোয়া মিল্কও।
রোজের পাতে একটা করে মাছ অবশ্যই রাখুন। সেই মাছের ওজন যাতে ২ কেজির বেশি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখুন। মাছের মধ্যে থাকে প্রচুর পুষ্টি। এছাড়াও মাছের মধ্যে থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিডও আমাদের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে মাছ ভাজা নয়, অল্প ভেজে তরকারি বানিয়ে খান।