AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Diabetes: ডায়াবেটিসের সমস্যায় প্রথমেই কি এন্ডোক্রিনোলজিস্টের কাছে যাবেন? পড়ুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

Type 2 Diabetes: দিনের মধ্যে ৫-৬ কাপ যদি চিনি দেওয়া চা খান তাহলে ৬০০-৭০০ ক্যালোরি ওখানেই চলে যায়। চিনি ছাড়া এক কাপ লিকার চায়ের সঙ্গে থিন অ্যারারুট বিস্কুট খান

Diabetes: ডায়াবেটিসের সমস্যায় প্রথমেই কি এন্ডোক্রিনোলজিস্টের কাছে যাবেন? পড়ুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
ভাত আর রুটির মধ্যে কোনও ফারাক নেই
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2022 | 6:33 PM
Share

সুগারের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। ছোট থেকে বড় টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। সুগারের সমস্যায় আজকাল সকলেই প্রথমে খোঁজ করেন এন্ডোক্রিনোলজিস্টের ( সুগার বিশেষজ্ঞ)। সেই সঙ্গে সকলেরই চাহিদা থাকে ভাল চিকিৎসকের। তবে এই ভালর সংজ্ঞা নির্ধারণ করা খুবই কঠিন কাজ। যে কোনও ডাক্তারই প্রয়োজন মতো ওষুধ দেবেন, যাতে রক্তে সুগারের মাত্রা থাকে নিয়ন্ত্রণে। তবে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার মূল ওষুধ হল এই চারটি। তা হল- ডায়েট, এক্সসারসাইজ, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এবং ওষুধ। এছাড়াও রোগীর বয়স, পেশা, খাদ্যাভ্যাস, পারিবারিক গঠন, শিক্ষাগত যোগ্যতা এসবের উপরেও নির্ভর করে প্রেসক্রিপশন করেন চিকিৎসক। সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ বেলাল আলি , সিনিয়র রেসিডেন্ট ( ডিপার্টমেন্ট এফ জেনারেল মেডিসিন) তাঁর ইন্সটাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানেই তিনি সুগার রুখতে মোক্ষম কিছু দাওয়াই দিয়েছেন। এই নিয়ম মেনে চলতে পারলে শরীর থাকবে সুস্থ।

সকালে ঘুম থেকে উঠে চা খাওয়ার অভ্যাস সকলের। তবে এই চায়ে কিন্তু দুধ মিশিয়ে খাবেন না। দিনের মধ্যে ৫-৬ কাপ যদি চিনি দেওয়া চা খান তাহলে ৬০০-৭০০ ক্যালোরি ওখানেই চলে যায়। চিনি ছাড়া এক কাপ লিকার চায়ের সঙ্গে থিন অ্যারারুট বিস্কুট খান। সেই সঙ্গে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, সুগার থাকা মানেই কি ভাত বাদ? তা কিন্তু নয়। রুটি, ভাত, ওটস, বার্লি. জোয়ার যা খুশি খেতে পরারেন। তবে পরিমাণ যেন ৫০ গ্রামের বেশি না হয়। ৫০ গ্রাম চালের ভাত বা ৫০ গ্রাম ও়স দুধ দিয়ে খেতে পারেন। ময়দার রুটি কিন্তু একেবারেই চলবে না। আলু ছাড়া আর কম তেলে যে কোনও সবজি রান্না করুন। সবজি কিন্তু যত খুশি খেতে পারেন। প্রয়োজনে ২ বাটিও চলতে পারে। মাথায় রাখবেন সুগারে কিন্তু আলু একেবারে বাদ দিতেই হবে। তেল কিন্তু মেপে খেতেই হবে। সারাদিনে যাই খান না কেন তেল ১৫-২০ মিলিগ্রামের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। যে কোনও তেলই কিন্তু খেতে পারেন। সকাল ১১-১২ টার মধ্যে যে কোনও একটি ফল খাওয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকেরা। পেয়ারা, আপেল, মোসাম্বি, কমলালেবু বা ফ্রুট স্যালাড খেতে পারেন।

দুপুরে ১-২ টোর মধ্যে ৫০ গ্রাম চালের ভাত, আটার রুটি, সবজি, ডাল ( খুব ঘন নয়), মাছ ১ পিস, মাংস হলে ৩ বা ৪ পিস, সঙ্গে টকদই আর স্যালাডও কিন্তু রাখুন। সন্ধ্যে ৬-৭ টার মধ্যে আবার চা-বিস্কুট খান। রাতের খাবারও ৯ টার মধ্যে সেরে ফেলতে হবে। চিকিৎসক যে ওষুধ দেবেন তাই খান নিয়ম করে। নিজের থেকে ওষুধের ডোজ পরিবর্তন করবেন না।

রোজ যে কোনও একরকম শরীরচর্চা কিন্তু করতেই হবে। নিয়ম করে ৩০ মিনিট হাঁটা খুবই জরুরি। যদি রোজ না পারেন তাহলে সপ্তাহে ৪-৫ দিন তো অবশ্যই হাঁটবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন কার্ডিয়োও করতে পারেন। ১৫ দিন অন্তর একবার খালিপেটে সুগার টেস্ট করে নিতে কিন্তু ভুলবেন না। কোনও রকম সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।