Child Nutrition: শিশুদের এই ধরনের খাবারগুলো খাওয়ালে তাদের শারীরিক আর মানসিক বিকাশ খুব তাড়াতাড়ি হয়…

ছোটবেলা থেকেই শিশুদের খাদ্য তালিকায় এমন কিছু শাকসবজি ও খাদ্য বস্তু অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা তাদের সামগ্রিক বিকাশে সাহায্য করবে।

Child Nutrition: শিশুদের এই ধরনের খাবারগুলো খাওয়ালে তাদের শারীরিক আর মানসিক বিকাশ খুব তাড়াতাড়ি হয়...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 20, 2021 | 1:24 PM

শারীরিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান না পেলে শিশুদের দৈর্ঘ্যও বাড়ে না। পুষ্টিকর উপাদানের অভাবে শরীরে যে শুধুমাত্র রোগ দানা বাঁধে তাই নয়, বরং তাদের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিও ব্যহত হয়। এ ক্ষেত্রে ছোটবেলা থেকেই তাদের খাদ্য তালিকায় এমন কিছু শাকসবজি ও খাদ্য বস্তু অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা তাদের সামগ্রিক বিকাশে সাহায্য করবে। হেলথলাইনে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এখানে সেরকম কিছু খাবারের কথা জানানো হল-

সয়াবিন:

এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা বাচ্চাদের কোষ ও হাড় গঠনে সাহায্য করে। এর ফলে বাচ্চারা লম্বা হতে পারে।

দুধ ও দুগ্ধজাত উপাদান:

দুধে সবচেয়ে বেশি ক্যালশিয়াম থাকে, যা হাড় মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়াও প্রোটিনেরও উল্লেখযোগ্য উৎস দুধ। কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে প্রোটিন। তাই বাচ্চাদের প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করানো উচিত। দুধ ছাড়াও, পনির, দই, চিজে ভিটামিন এ, বি, ডি এবং ই’র পাশাপাশি প্রোটিন, ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ। এ সমস্ত উপাদান বাচ্চাদের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক।

মাংস:

হাড় ও মাংসপেশি বৃদ্ধি এবং মজবুত করতে উপযোগী ভূমিকা পালন করে মাংস। প্রোটিন ও নানান পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ মাংস, যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাচ্চাদের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে থাকে।

Kids Nutrition

সবুজ শাকসবজি:

মেথি, পালক, বাধাকপির মতো পাতাযুক্ত সবজি ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ক্যালশিয়াম, আয়রন ম্যাগ্নেশিয়ামে ভরপুর। এটি শরীরে পুষ্টিকর উপাদানের জোগানের পাশাপাশি বাচ্চাদের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।

স্যালমন মাছ:

এই মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বর্তমান। হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ওমেগা-৩। তার পাশাপাশি শারীরিক বিকাশেও এটি উপকারি। বিশেষজ্ঞদের মতে ওমেগা-৩ হাড় মজবুত করার জন্য জরুরি।

ডিম:

প্রোটিনে সমৃদ্ধ ডিমকে আবার নিউট্রিশনের পাওয়ার হাউসও বলা হয়। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী প্রতিদিন দুটি করে ডিম খেলে বাচ্চাদের দৈর্ঘ্য বাড়ানো যায়। ডিমের হলুদ অংশে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বর্তমান, যা বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটিয়ে থাকে।

ওটস:

ওটসে ভিটামিন বি, ই, পটাশিয়াম ও জিঙ্ক থাকে। এটি বাচ্চাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য লাভজনক। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা বাচ্চাদের পাচন তন্ত্রকে সঠিক রাখে। পাশাপাশি এতে উপস্থিত প্রোটিন বাচ্চাদের উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

আমন্ড:

ভিটামিন, মিনারেল-সহ নানান পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ আমন্ডও বাচ্চাদের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, ম্যাগনিজ, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন ই থাকে। এটি বাচ্চাদের হাড় মজবুত করে।

ডাল:

প্রোটিন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ ডাল। এতে আবার ফ্যাট কম থাকে। বাড়ন্ত বাচ্চাদের শারীরিক গঠনের জন্য এগুলি অত্যন্ত জরুরি। তাই প্রতিদিন বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের ডাল খাওয়াবেন।

আরও পড়ুন: Omicron variant: ভ্যাকসিনের দুটো ডোজই সম্পন্ন নেই কোনও ভ্রমণ ইতিহাসও, তবু আক্রান্ত ওমিক্রনে! কেন জানেন?

আরও পড়ুন: Belly Fat Burn: পেটের জেদি মেদ ঝরাতে এবার ভরসা রাখুন আয়ুর্বেদে! ৫টি ঘরোয়া নিয়ম মানলেই হবে কেল্লাফতে

আরও পড়ুন: Anti-AirPollution Diet: শীতকালে বায়ুদূষণের কারণে শ্বাসকষ্ট বাড়ে! দূষণ থেকে বাঁচতে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন এই ১০টি খাবার