IED Blast: মাওবাদীদের ঘটানো আইইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু ১ সিআরপিএফ জওয়ানের, আহত ১ চিকিৎসাধীন
এই বিস্ফোরণে আহত দুজন হলেন সিআরপিএফ কনস্টেবল রাজেশ কুমার এবং ইন্সপেক্টর ভূপেন্দ্র কুমার। বিস্ফোরণে আহত হওয়ার পর দুজনকে এয়ারলিফ্ট করে রাঁচীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চিকিৎসার জন্য। সেখানেই রাজেশ কুমারের মৃত্যু হয়েছে। মৃত জওয়ানের বাড়ি ছত্তীসগঢ়ে। তিনি ২০৯ কোবরা ব্যাটেলিয়নের সদস্য ছিলেন।
সিংভূম: মাওবাদীদের ঘটানো আইইডি ব্লাস্টে গুরুতর আহত হয়েছেন দুই সিআরপিএফ জওয়ান। চিকিৎসা চলাকালীন তাঁদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলায়। ঝাড়খন্ডের ওই জেলার তুমবাহাকা এবং সরজমবুরু গ্রামের মধ্যবর্তী জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় মাওবাদী দমন অভিযান চালাচ্ছিলেন সিআরপিএফ-এর বিশেষ কোবরা ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা। সে সময়ই এই আইইডি বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
এই বিস্ফোরণে আহত দুজন হলেন সিআরপিএফ কনস্টেবল রাজেশ কুমার এবং ইন্সপেক্টর ভূপেন্দ্র কুমার। বিস্ফোরণে আহত হওয়ার পর দুজনকে এয়ারলিফ্ট করে রাঁচীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চিকিৎসার জন্য। সেখানেই রাজেশ কুমারের মৃত্যু হয়েছে। মৃত জওয়ানের বাড়ি ছত্তীসগঢ়ে। তিনি ২০৯ কোবরা ব্যাটেলিয়নের সদস্য ছিলেন। অপর এক আহত এখনও রাঁচীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃত ওই জওয়ানের প্রতি শনিবার শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের আইজি অমল ভি হোমকার বলেছেন, “বৃহস্পতিবার রাত ১১-১২টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। মাওবাদীরা কোবরা বাহিনীর উপর আঘাত হানতে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।” এই ঘটনার পর ওই এলাকায় বাহিনী মোতায়েন বাড়ানো হচ্ছে। ওই জঙ্গল এলাকায় মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশিও চলছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।
প্রসঙ্গত, মাওবাদী প্রভাবিত এই এলাকায় গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। গত অগস্ট মাসে ঝাড়খণ্ড জাগুয়ার বাহিনীর দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে। ২০২৩ সালে ১৬টি এনকাউন্টারে মোট ৯ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলার জঙ্গল এলাকায়। এর মঝ্যে জুলাই মাসে মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যেরও মৃত্যু হয়েছে।