Bihar: গোপনাঙ্গে ঠুসে দিল মাটি-বালি, বীভৎসতার শিকার ১০ বছরের মেয়ে

Bihar Minor rape: ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি অপরাধী। গোপনাঙ্গে ঠুসে দেওয়া হয়েছে মাটি, বালিও। বিহারে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার ১০ বছরের নাবালিকা।

Bihar: গোপনাঙ্গে ঠুসে দিল মাটি-বালি, বীভৎসতার শিকার ১০ বছরের মেয়ে
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 10, 2023 | 4:58 PM

পাটনা: ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি অপরাধী। গোপনাঙ্গে ঠুসে দেওয়া হয়েছে মাটি, বালিও। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হল ১০ বছরের নাবালিকা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (৯ এপ্রিল), বিহারের পূর্ণিয়া জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ণিয়া জেলার ডাগরুয়া থানার অন্তর্গত এক গ্রামে। খেলার মাঝেই ওই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত। তাকে ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ধর্ষণের শিকার নাবালিকাকে।

এক পদস্থ পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, রবিবার বিকেলে নির্যাতিতা তার বাড়ির বাইরেই বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল। আচমকা ওই স্থানে এসে উপস্থিত হয় অভিযুক্ত ব্যক্তি। অন্য মেয়েদের সে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে বলে। অন্যান্যরা চলে যেতেই, অভিযুক্ত ব্যক্তি ১০ বছরের মেয়েটিকে এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর নাবালিকা গোপনাঙ্গ থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত শুরু হয়। রক্তপাত বন্ধ করতে নাবালিকার গোপনাঙ্গে কাদামাটি এবং বালি ঠুসে দিয়েছিল অভিযুক্ত। এদিকে, নির্যাতিতার মা বাড়ি ফিরে নাবালিকাকে না দেখতে পেয়ে তার খোঁজ শুরু করেছিলেন। অন্য শিশুদের কাছ থেকে জানতে পারেন, এক ব্যক্তি তার মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়েছে।

আতঙ্কিত মা পাড়া প্রতিবেশিদের খবর দিয়েছিলেন। বিপুল সংখ্যক গ্রামবাসী তার সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তারাই নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে। তবে গ্রামবাসীদের আসতে দেখে, তার আগেই পালায় অভিযুক্ত ব্যক্তি। এরপর গ্রামবাসীরা স্থানীয় থানায় খবর দেয়। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তির সন্ধান শুরু করে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত। পূর্ণিয়া জেলার পুলিশ সুপার আমির জাওয়াইদ জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে পকো আইনের উপযুক্ত ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমির জাওয়াইদ বলেছেন, “আমরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি এবং পকসো আইনের অধীনে মামলা করেছি। নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষার পরে তাকে চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।”