কোভিশিল্ডের দুই ডোজ় দেওয়ার নিয়মে এল বড় বদল, জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক
এর আগে ২৮ দিনের পরিবর্তে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের ব্যবধানে কোভিশিল্ড দেওয়ার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র।
নয়া দিল্লি: দেশের হাতে করোনা (COVID 19) নিধনের তিনটি অস্ত্র। ডিসিজিআই অনুমোদন পেয়েছে সেরামের কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ও রাশিয়ার স্পুটনিক। এর মধ্যে স্পুটনিক ও কোভ্য়াক্সিনের দু’টি ডোজ় ২৮ দিনের ব্যবধানেই দেওয়া হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশ মেনে এর আগে কোভিশিল্ডের দুই ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। যদিও কোভ্যাক্সিনের দুই ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান বাড়েনি। এ বার কোভিশিল্ডের দুই ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান ১২-১৬ সপ্তাহ বাড়ানোর কথা জানিয়েছে জাতীয় টিকাকরণ দল। সূত্রের খবর, সেই সুপারিশে এ দিন সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এর আগে ২৮ দিনের পরিবর্তে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের ব্যবধানে কোভিশিল্ড দেওয়ার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। সেই মর্মে প্রত্যেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে তা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এ বার সেই ব্যবধান ১২-১৬ সপ্তাহ করার সুপারিশ। আর এই সুপারিশ এমন সময় আসছে, যখন সারা দেশে টিকা সঙ্কট। চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া।
সরকারি প্যানেলের এই সুপারিশ মেনেই টিকাকরণ হবে বলে আশাবাদী চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এর আগে অধিক কার্যকরিতার জন্যই কোভিশিল্ডের দুই ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান বৃ্দ্ধি পেয়েছিল। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণাও দাবি করেছিল, কোভিশিল্ডের দুই ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান বেশি হলে কার্যকরিতাও বেশি হয়।
অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার প্রযুক্তিতে দেশে কোভিশিল্ড তৈরি করে সেরাম। আদর পুনাওয়ালার সংস্থায় কয়েকদিন আগেই কাঁচামালের সরবরাহ না থাকায় কোভিশিল্ড উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিল। যদিও পরে মার্কিন প্রশাসন কাঁচামাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় এখন সবকিছু স্বাভাবিক হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিশুদের চূড়ান্ত ট্রায়ালে ছাড়পত্র কোভ্যাক্সিনকে, সিলমোহর ডিসিজিআইর