Minor Assaulted: অর্ধনগ্ন ধর্ষিতা নাবালিকা দুয়ারে দুয়ারে সাহায্য চাইছে, এগিয়ে এল না কেউ
জানা গিয়েছে, ধর্ষণের পর অর্ধনগ্ন অবস্থায় নাবালিকা প্রায় ২ কিলোমিটার ঘুরে বেড়িয়েছে। শেষে সে একটি আশ্রমের কাছে গিয়ে উপস্থিত হয়। সেখানকার এক পুরোহিত তাকে দেখে গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন। ওই পুরোহিতের সন্দেহ হয়, নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন হয়েছে। তার পর তিনি অত্যাচারিতা কিশোরীকে নিয়ে যান জেলা হাসপাতালে।
নয়াদিল্লি: ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২ বছরের নাবালিকা। তার পোশাক প্রায় ছেঁড়া। পা দিয়ে গড়াচ্ছে রক্ত। অর্ধনগ্ন অবস্থায় এ ভাবেই সে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছে। রাস্তার ধারে বাড়িতে কাউকে দেখলে সাহায্য প্রার্থনা করছে। কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সবাই। উল্টে বাড়ির সামনে সাহায্য চাইতে গেলে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ধর্ষিতা নাবালিকার সঙ্গে চূড়ান্ত অমানবিক এই ঘটনা ঘটেছে মধ্য প্রদেশের বাদনগর রোড এলাকায়। যা উজ্জয়িনী থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে। অর্ধনগ্ন অবস্থায় নাবালিকার ঘুরে বেড়ানো এবং সাধারণ মানুষের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ছবি ধরা পড়েছে ওই এলাকায় থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায়। তা দেখে শিউরে উঠছেন নেটিজেনরা। দুঃস্থের পাশে না দাঁড়ানোর এই অমানবিক ঘটনা নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে প্রবল।
জানা গিয়েছে, ধর্ষণের পর অর্ধনগ্ন অবস্থায় নাবালিকা প্রায় ২ কিলোমিটার ঘুরে বেড়িয়েছে। শেষে সে একটি আশ্রমের কাছে গিয়ে উপস্থিত হয়। সেখানকার এক পুরোহিত তাকে দেখে গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন। ওই পুরোহিতের সন্দেহ হয়, নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন হয়েছে। তার পর তিনি অত্যাচারিতা কিশোরীকে নিয়ে যান জেলা হাসপাতালে। সেখানে মেডিক্যাল পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, নাবালিকা ধর্ষণের শিকার।
শারীরিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় ওই নাবালিকাকে ইন্দোরের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। এর মধ্যেই পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। তদন্তের জন্য পুলিশ, অত্যাচারিতা নাবালিকার নাম, পরিচয়, ঠিকানা জানতে চান। কিন্তু ১২ বছরের কিশোরী তা জানাতে পারেনি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে কথার টান দেখে পুলিশের অনুমান, তার বাড়ি উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে হতে পারে।
এই ঘটনা নিয়ে উজ্জয়িনীর পুলিশ প্রধান সচিন শর্মা বলেছেন, “মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণ নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশের বিশেষ দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করছি কোনও তথ্য জানা থাকলে তা পুলিশকে জানান।” তিনি আরও বলেছেন, “মেয়েটি নিজের নাম-ঠিকানা আমাদের বলতে পারেনি। আমাদের মনে হচ্ছে তাঁর প্রয়াগরাগে এলাকায় বাড়ি হতে পারে। আমরা ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করছি।”