Physical Assault: আচমকা পিছন থেকে ধাক্কা, পরে জ্ঞান ফিরতেই কিশোরী দেখল গায়ে একটা সুতো নেই, রক্তে ভাসছে নিম্নাঙ্গ
Jharkhand Crime: ধর্ষণের পর নির্যাতিতা কিশোরীকে ওই অবস্থাতেই ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। কয়েক ঘণ্টা পর বিবস্ত্র অবস্থায় জ্ঞান ফেরে ওই কিশোরীর। কোনওমতে ছেঁড়া জামাকাপড় পরেই বাড়ি ফেরে ওই কিশোরী।
রাঁচী: গ্রামের শেষ প্রান্তে বসেছে টুসু মেলা। বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূর হওয়ায় কিছুতেই একা ছাড়তে রাজি হচ্ছিল না পরিবারের সদস্যরা। শেষ অবধি মেয়ের জেদের কাছে হার মানতেই হয়। অনুমতি দেন টুসু মেলায় যাওয়ার। কিন্তু ফেরার পথেই ঘটল ভয়ঙ্কর ঘটনা। মেলা থেকে ফেরার সময় একা দেখতে পেয়ে ১৪ বছরের কিশোরীকে রাস্তার পাশের ক্ষেতে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ (Physical Assault) করল পাঁচজন ব্যক্তি। ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) দুমকা জেলায়। বর্তমানে ওই কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে পুলিশ (Police)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার বাসিন্দা ওই নির্যাতিতা কিশোরী। গত ১৪ জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তির দিন তাঁকে গণধর্ষণ করে পাঁচজন ব্যক্তি, এমনটাই অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী বন্ধুদের সঙ্গে গ্রামের শেষ প্রান্তে বসা টুসু মেলায় গিয়েছিলেন। সন্ধেবেলায় একাই বাড়ি ফিরছিল ওই কিশোরী, এমন সময় পাঁচজন ব্যক্তি তাঁকে অনুসরণ করা শুরু করে। কিছু দূর এগোতেই আচমকা রাস্তার ধারে ফাঁকা একটি ঝোপে তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা। এরপর পালা করে চলে নির্যাতন। কিশোরীর অভিযোগ, এক এক করে পাঁচজনই তাঁকে ধর্ষণ করে, সেই সময় বাকিরা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিল।
ধর্ষণের পর নির্যাতিতা কিশোরীকে ওই অবস্থাতেই ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। কয়েক ঘণ্টা পর বিবস্ত্র অবস্থায় জ্ঞান ফেরে ওই কিশোরীর। কোনওমতে ছেঁড়া জামাকাপড় পরেই বাড়ি ফেরে ওই কিশোরী। লোকলজ্জার ভয়ে প্রথমে কিশোরীর পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানো না হলেও, পরের দিন কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে তাঁকে দুমকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপরই হাসপাতালের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এভি হোমকার জানান, কিশোরীর বয়ানের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত পাঁচজনের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। গোটা তদন্তের উপরে নজরদারি করছেন পুলিশ সুপার।