Teenager Suicide: সারাদিন অনলাইন গেমে ডুবে, ফোন খারাপ হতেই দরজা বন্ধ করে ছেলের এমন কীর্তিতে স্তম্ভিত বাবা-মা
Online Games Addiction: বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পরও কিশোরের কোনও সাড়া না পেয়েই পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন এবং ঝুলন্ত অবস্থায় কিশোরকে উদ্ধার করেন।
নয়ডা: পড়াশোনা লাটে উঠেছে, সারাদিন শুধু মোবাইলেই ডুবে। বছর ১৫-র ছেলেকে সামলাতে অতিষ্ঠ গোটা পরিবার। অনলাইনে গেমের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ায় প্রায়দিনই বকাবকি করতেন মা-বাবা। কিন্তু ছেলের কানে কিছুই ঢোকে না। সম্প্রতিই মোবাইল খারাপ হয়ে যায়। অনলাইনে গেম (Online Game) খেলতে না পেরে, পাগলের মতো অবস্থা কিশোরের। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা ফোন সারাই করে দিতে রাজি না হওয়ায়, চরম সিদ্ধান্ত নিল কিশোর। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা (Suicide) করল বছর ১৫-র কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে গ্রেটার নয়ডায় (Greater Noida)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের ফোন খারাপ হয়ে যাওয়ায় আত্মহত্যা করে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেটার নয়ডায় বেটা ২ পুলিশ স্টেশনের অধীনে বসবাস ওই পরিবারের। বছর ১৫-র ওই কিশোর সারাদিনই মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে মগ্ন থাকত। লেখাপড়া কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। এই নিয়ে পরিবারের তরফে প্রায়দিনই বকাঝকা করা হত। সম্প্রতিই ওই কিশোরের ফোন ঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই সে পরিবারের কাছে নতুন ফোনের দাবি করতে শুরু করে। সেই দাবি না মানায় অচল ফোন ঠিক করিয়ে আনার জেদ ধরে। কিন্তু কিশোরের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে, এই কথা ভেবে ফোন সারাই করে আনতে অস্বীকার করে তাঁর মা-বাবা।
মঙ্গলবারও একই বিষয় নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে বচসা হয় কিশোরের। ফোন সারাই করে দিতে রাজি না হওয়ায় কিশোর এতটাই ক্ষুব্ধ হয় যে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং মায়ের কাপড় দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়। বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পরও কিশোরের কোনও সাড়া না পেয়েই পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন এবং ঝুলন্ত অবস্থায় কিশোরকে উদ্ধার করেন। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, চিকিৎসকেরা ওই কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মোবাইল ফোনে অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছিল ওই কিশোর। বাড়ির সদস্যরা ফোন সারাই করে দিতে অস্বীকার করাতেই চরম পদক্ষেপ করে কিশোর। পুলিশের তরফে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।