Delhi Murder: বাড়ির ক্রমাগত চাপ, ‘পথের কাঁটা’ সরাতেই বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে লিভ ইন সঙ্গীকে গাড়িতে ডেকেছিল সাহিল

Delhi Murder: অভিযুক্ত সাহিলের দাবি, তাঁর পরিবারের তরফে নিকির বদলে অন্য এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। শেষে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এনগেজমেন্ট ও বিয়ের তারিখ ধার্য হয়। চলতি বছরের ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে দুটি অনুষ্ঠান ছিল। এদিকে, সাহিল বিয়ে সম্পর্কে কোনও কথাই নিকিকে জানায়নি।

Delhi Murder: বাড়ির ক্রমাগত চাপ, 'পথের কাঁটা' সরাতেই বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে লিভ ইন সঙ্গীকে গাড়িতে ডেকেছিল সাহিল
ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 15, 2023 | 12:13 PM

নয়া দিল্লি: এ যেন আরেকটি শ্রদ্ধা ওয়াকার-আফতাব আমিন পুনাওয়ালার কাহিনী। প্রথমে প্রেমিকাকে খুন এবং তারপর তাঁর দেহ ফ্রিজে ভরে রাখা, শিউরে ওঠার মতো এই ঘটনা গত বছরের শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনাকেই মনে করিয়েছে, যেখানে আফতাব লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে ভরে রেখেছিল এবং তা ১৮দিন ধরে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে ফেলে এসেছিল। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের একই ধরনের ঘটনা। প্রেমিকাকে খুন (Murder) ও তার দেহ ফ্রিজে ভরে রাখার মতো নৃশংস অপরাধে গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। দিল্লির নজফগড়ের মিত্রাও গ্রামের বাইরে অবস্থিত একটি ধাবার ফ্রিজ থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হয়। তদন্তে নামতেই পুলিশের হাতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য আসছে। জানা গিয়েছে, লিভ ইন সঙ্গীকে (Live In Partner) খুন করার কয়েক ঘণ্টা পরেই অন্য এক যুবতীকে বিয়ে করে অভিযুক্ত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম সাহিল গেহলট। গত ৯ ফেব্রুয়ারির রাতে সাহিল তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী নিকি যাদবকে গলা টিপে খুন করে। এরপরে তাঁর দেহ ওই ধাবার ফ্রিজে ভরে রাখে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই সে অন্য এক যুবতীকে বিয়ে করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বছর ২৪-র সাহিলের সঙ্গে ২০১৮ সালে নিকি যাদবের পরিচয় হয়।  দিল্লির উত্তম নগর এলাকার একটি কোচিং সেন্টারে তাদের আলাপ হয়। কিছুদিন বন্ধুত্বের পরই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তারা একসঙ্গে থাকা শুরু করে।

অভিযুক্ত সাহিলের দাবি, তাঁর পরিবারের তরফে নিকির বদলে অন্য এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। শেষে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এনগেজমেন্ট ও বিয়ের তারিখ ধার্য হয়। চলতি বছরের ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে দুটি অনুষ্ঠান ছিল। এদিকে, সাহিল বিয়ে সম্পর্কে কোনও কথাই নিকিকে জানায়নি। কিন্তু অন্য এক বন্ধুর মারফত গোটা বিষয়টি জানতে পারে এবং এই নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া-অশান্তি শুরু হয়। ৯ ফেব্রুয়ারির রাতে সাহিল গাড়িতে রাখা ডেটা কেবল গলায় পেঁচিয়ে খুন করে নিকিকে। এরপরে তাঁর দেহ নিয়ে নজফগড়ের ওই ধাবায় যায় এবং সেখানের ফ্রিজে লুকিয়ে রেখে আসে। বাড়ি ফিরে পরিকল্পনা মাফিকই অন্য এক যুবতীকে বিয়ে করে সে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার এক মহিলাকে খুন ও তাঁর দেহ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখার অভিযোগ আসে। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধারের পরই অভিযুক্ত সাহিলকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, নজফগড়ের মিত্রাও গ্রামেরই বাসিন্দা অভিযুক্ত। অন্যদিকে, মৃতা হরিয়ানার ঝাজ্জরের বাসিন্দা।