Forced Abortion: ধর্ষণের পর জোর করে গর্ভপাত করাতে গিয়ে মৃত্যু যুবতীর

Uttar Pradesh: পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সূর্যকান্ত ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, শুক্রবার গর্ভপাত করার সময় ওই যুবতীর মৃত্য়ু হয়েছে। যুবতীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Forced Abortion: ধর্ষণের পর জোর করে গর্ভপাত করাতে গিয়ে মৃত্যু যুবতীর
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2022 | 7:35 PM

বারাণসী : যুবতীকে ধর্ষণের পর জোর করে গর্ভপাত করাতে গিয়ে মৃত্যু নির্যাতিতার। সোমবার এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে। ২২ বছর বয়সি ওই যুবতীর মৃত্য়ুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক চিকিৎসক চার জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ বছর বয়সি এক গাড়ি চালক, তার বন্ধু, এক বেসরকারি হাসপাতালের আধিকারিক এবং এক চিকিৎসককে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সূর্যকান্ত ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, শুক্রবার গর্ভপাত করার সময় ওই যুবতীর মৃত্য়ু হয়েছে। যুবতীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওই যুবতী পড়াশোনার জন্য এক আত্মীয়র বাড়িতে থাকত। সেখানেই ওই গাড়িচালকের সঙ্গে যুবতীর পরিচয় হয় এবং ওই গাড়িচালকই যুবতীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা ঘটেছিল বেশ কয়েকমাস আগে। ঘটনার পর নির্যাতিতা যুবতী গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল। পাঁচ মাসের গর্ভবতী ওই নির্যাতিতাকে ওষুধ দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত যুবক এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার আত্মীয়র অভিযোগ, ওই হাসপাতালেই যুবতীকে জোর করে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করা হয় এবং তখনই মৃত্যু হয় নির্যাতিতা যুবতীর।

নির্যাতিতার আত্মীয়র অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত সহ আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার সূর্যকান্ত ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, বাকি দুই অভিযুক্তেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে যুবতীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। এদিকে এই ঘটনার জেরে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।

দেশে মহিলাদের উপর অত্যাচার বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। মহিলাদের আর্থিক দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্যও বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকার। অতীতে বিভিন্ন সময়ে কড়া পদক্ষেপও করতে দেখা গিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু তারপরও মহিলাদের উপর এমন অত্যাচার পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না।