Bhima Koregaon case: ভীমা কোরেগাঁও মামলার দুই অভিযুক্তকে জামিন দিল দেশের শীর্ষ আদালত
ভীমা-কোরেগাঁও মামলার দুই অভিযুক্ত জামিন পেলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া শর্ত আরোপ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। জামিন পেলেও আদালতের অনুমতি ছাড়া মহারাষ্ট্রের বাইরে যেতে পারবেন না এই দুই অভিযুক্ত।
নয়াদিল্লি: ভীমা কোরেগাঁও হিংসার ঘটনায় দুৃই অভিযুক্তকে শুক্রবার জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। এলগার পরিষদ ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন ভার্নন গঞ্জালেস এবং অরুণ ফেরেইরা। ২০১৮ সালের অগস্ট মাস থেকেই জেলে ছিলেন তাঁরা। আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট, ১৯৬৭ ছাড়াও একাধিক ধারায় মামলা চলছে দুজনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও সুধাংশু ঢুলিয়ার বেঞ্চ কিছু শর্তের বিনিময়ে জামিন দেন তাঁদের। তাঁদের বিরুদ্ধে থাকা মামলার ট্রায়াল এখনও শুরু না হওয়ার কারণে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হল বলে জানিয়েছেন দুই বিচারপতি। এর মধ্যে গঞ্জালেসের বিরুদ্ধে ইউএপিএ এবং বিস্ফোরক আইনেও মামলা রয়েছে।
ভীমা-কোরেগাঁও মামলার দুই অভিযুক্ত জামিন পেলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া শর্ত আরোপ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। জামিন পেলেও আদালতের অনুমতি ছাড়া মহারাষ্ট্রের বাইরে যেতে পারবেন না এই দুই অভিযুক্ত। তাঁদেরকে পাসপোর্ট এনআইএ-র কাছে জমা রাখতে বলা হয়েছে। এবং মোবাইল নম্বর জানাতে বলা হয়েছে। জামিনের সময়ে তাঁরা কেবল মাত্র একটি মোবাইল নম্বরই ব্যবহার করতে পারবেন। তাঁদের মোবাইলে সব সময় চার্জ থাকতে হবে। চার্জ শেষ হয়ে যাতে মোবাইল বন্ধ হয়ে না পড়ে থাকে, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত নিয়মের ভঙ্গ হলে জামিন বাতিল হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন দুই বিচারপতি।
প্রায় পাঁচ বছর ধরে জেলবন্দি রয়েছেন জামিন পাওয়া দুই অভিযুক্ত। তাঁদের বিরুদ্ধে থাকা মামলার ট্রায়ালও এখনও শুরু হয়নি। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মহারাষ্ট্রের পুণেতে এলগার পরিষদ কনক্লেভ আয়োজিত হয়েছিল। মাওবাদীদের মদত ও অর্থসাহায্যে তা হয়েছিল বলে অভিযোগ পুণে পুলিশের। সেখান থেকে দেওয়া উস্কানিমূলক ভাষণের জেরে ভীমা-কোরেগাঁও মেমোরিয়ালে হিংসার ঘটনাও ঘটেছিল। এর পর এই দুজন সহ একাধিক অ্যাক্টিভিস্টকে গ্রেফতার করা হয়। সেই মামলার তদন্ত করে এনআইএ।