ভিডিয়ো: বৃষ্টি নেই, ইন্দ্র দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে ধরে বেঁধে বিয়ে দেওয়া হল ২ ব্যাঙের
২০১৯ সালেও কর্নাটকের উডুপিতে ভাল বৃষ্টিপাতের জন্য মে মাসে দুটি ব্যাঙের মধ্যে বিয়ে দেওয়া হয়। যদিও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সেই সুখী সংসসার বেশিদিন টেকেনি, দুই মাসের মধ্যেই গ্রামবাসীরা ধরে বেধে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়ে দেয়।
আগরতলা: করোনা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার সময় নেই, আগে পেটের জ্বালা মেটানো দরকার। গোটা দেশ যেথানে করোনা সংক্রমণের সঙ্গে লড়ছে, সেখানেই ত্রিপুরার চা শ্রমিকরা বৃষ্টির আশায় ইন্দ্রদেবতাকে সন্তুষ্ট করতে ব্যস্ত। ছোটবেলায় গল্পের বইয়ে “ব্যাঙের বিয়ে”-র উল্লেখ থাকলেও দীর্ঘকাল ধরে এই প্রথাকেই মেনে আসছে পশ্চিম ত্রিপুরার আদিবাসী চা-শ্রমিকরা।
আয়োজনের কোনও অভাব নেই, নদীতে স্নান করানো থেকে গায়ে হলুদ, নতুন জামা ও শাড়ি পরানো থেকে মালাবদল, সিঁদুর দান-সবই ছিল সেই অনুষ্ঠানে। ফারাক কেবল একটাই, পাত্র-পাত্রী মানুষ নয়, বরং দুটি ব্যাঙ।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, গ্রামের মহিলারা জড়ো হয়েছেন একটি জায়গায়। সেখানে এক মহিলা পাত্রকে ধরে রেখেছেন, আরেক-জজন পাত্রীকে। নতুন জামায় সেজেগুজে ব্যাঙবাবু তাঁর স্ত্রীর গলায় মালা ও কপালে সিঁদুর পড়িয়ে দিলেন উপস্থিত মহিলাদের সাহায্যে।
#Watch| Frogs married off in Tripura to please rain god
Two toads were married performing all the rituals from bath in pond or river to new dresses, exchange of garlands, and applying of vermilion (sindoor). pic.twitter.com/qObo5i4qmM
— ANI (@ANI) May 6, 2021
অদ্ভুত এই প্রথা সম্পর্কে গ্রামবাসীরা জানান, দীর্ঘকাল ধরেই এই প্রথা অনুসরণ করা হচ্ছে। চাষের জন্য প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হলে বৃষ্টির দেবতা ইন্দ্রকে সন্তুষ্ট করতে ব্যাঙের মধ্যে বিয়ে দেওয়া হয়। এতে ইন্দ্র দেবতা সন্তুষ্ট হয়ে সেই অঞ্চলে আশির্বাদ স্বরূপ বৃষ্টিপাত করেন।
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৯ সালেও কর্নাটকের উডুপিতে ভাল বৃষ্টিপাতের জন্য মে মাসে দুটি ব্যাঙের মধ্যে বিয়ে দেওয়া হয়। যদিও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সেই সুখী সংসসার বেশিদিন টেকেনি, দুই মাসের মধ্যেই গ্রামবাসীরা ধরে বেধে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়ে দেয়। ২০১৮ সালেও মধ্য প্রদেশের বিজেপি নেত্রী ললিতা যাদব আষাঢ় উৎসবের অংশ হিসাবে দুটি ব্যাঙের মধ্যে বিয়ের আয়োজন করেছিলেন।