উপত্যকায় বড় নাশকতার ছক বানচাল, নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে খতম ২ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি

জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম ওয়াসিম আহমেদ ও হামাস আলিয়াস আসরার আলিয়াস সারিয়া। এরমধ্যে ওয়াসিম স্থানীয় বাসিন্দা হলেও অপর জঙ্গি অন্য কোনও দেশের নাগরিক। দুজনেই লস্কর-ই-তৈবাী সংগঠনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিলেন।

উপত্যকায় বড় নাশকতার ছক বানচাল, নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে খতম ২ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 05, 2021 | 8:45 AM

জম্মু: ফের উপত্যকায় অশান্তির চেষ্টা জঙ্গিদের। তবে বড় কোনও নাশকতা ঘটানোর আগেই নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে খতম হল দুই লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি। এদের মধ্যে একজন আবার ভিনদেশী।

মঙ্গলবার উত্তর কাশ্মীরের সোপের এলাকার বারামুল্লা জেলায় জঙ্গিবাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টার শুরু হয় নিরাপত্তাবাহিনীর। পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, সোপোরে জঙ্গি উপস্থিতির খবর মিলতেই নাথিপোরা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী। সেখানে আচমকাই নিরাপত্তাবাহিনীর উপর গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। নিমেষে তা এনকাউন্টারে পরিণত হয়।

পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে দুই লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম ওয়াসিম আহমেদ ও হামাস আলিয়াস আসরার আলিয়াস সারিয়া। এরমধ্যে ওয়াসিম স্থানীয় বাসিন্দা হলেও অপর জঙ্গি অন্য কোনও দেশের নাগরিক। দুজনেই লস্কর-ই-তৈবাী সংগঠনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিলেন।

পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, আলিয়াস ২০১৮ সাল থেকে উত্তর কাশ্মীরে জঙ্গহি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং সমপ্রতিই তিনি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কাছ থেকে মুক্তি পান। তাঁর প্রধান দায়িত্ব ছিল যুবকদের ভুল পথে চালিত করে জঙ্গি বসংগঠনে যোগ দেওয়ানো।

পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, নিহত দুই জঙ্গিই নানা ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল। চলতি বছরেরই মার্চ মাসে দুই মিউনিসিপাল কাউন্সিলর ও একজন পুলিশকর্মীকে হত্যার ঘটনাতেও হামাস সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল, একটি ইনসাস রাইফেল ও অন্যান্য় অস্ত্র-শস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু করোনা রোগীর, অ্যাম্বুলেন্সের চড়া দর মেটাতে না পারায় রিক্সাতেই নিয়ে যেতে হল দেহ!