Delhi Crime: গলায় ঠেকানো বিয়ারের বোতল, মাঝ রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে মহিলা উবার চালকের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের চেষ্টা, তারপর…

Robbery: পুলিশকে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, হামলার পরই তিনি উবারের এমার্জেন্সি নম্বরে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিলেন। উবারের প্রত্যেক গাড়িতে যে প্যানিক বাটন থাকে, তাতেও বারংবার চাপ দেন তিনি, কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি।

Delhi Crime: গলায় ঠেকানো বিয়ারের বোতল, মাঝ রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে মহিলা উবার চালকের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের চেষ্টা, তারপর...
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2023 | 12:03 PM

নয়া দিল্লি: চলন্ত গাড়িতে ছিনতাইয়ের চেষ্টা। তবে যাত্রী নয়, গাড়ির চালককেই লুঠ করার চেষ্টা করল দুই ব্যক্তি। উবারের  (Uber) এক মহিলা চালককে লুটে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেন গাড়ির দুই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির (Delhi) কাশ্মীরী গেটের কাছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির ইন্টার-স্টেট বাস টার্মিনাসের কাছে দুই যাত্রী ওই মহিলা চালকের উপরে হামলা করে। প্রিয়াঙ্কা নামের ওই যুবতী গত ৯ জানুয়ারির রাতে এক যাত্রীকে তুলতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই আচমকা দুই ব্যক্তি চড়াও হন, পাথর ছুড়ে গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেন, এরপরে তাঁর মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ জানুয়ারি রাতে প্রিয়াঙ্কা নামের ওই উবার গাড়ির চালক আইএসবিটি বাস স্ট্যান্ডের কাছে এক যাত্রীকে তুলতে যাচ্ছিলেন। ঘন কুয়াশা থাকার কারণে ধীরগতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি। যাত্রীর থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে ছিলেন যখন প্রিয়াঙ্কা, সেই সময়ই আচমকা দুই ব্যক্তি পথ আটকে দাঁড়ান। ইট মেরে গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেন। পাথর দিয়ে আঘাত করেন প্রিয়াঙ্কার মাথায়।

প্রিয়াঙ্কার দাবি, তিনি গাড়ি থেকে নেমে দেখতে যান যে কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই সময়ই দুই ব্যক্তি তাঁকে ঘিরে ধরেন এবং তাঁর থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এক ব্যক্তি তাঁর হাত চেপে ধরেন, অপর ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ছিনিয়ে নেন। তবে ওই যুবতী সাহস করে ফের হামলাকারীদের হাত থেকে নিজের মোবাইল ছিনিয়ে নেন।

ওই উবার চালকের দাবি, হামলাকারী দুই ব্যক্তি চাবি ছিনিয়ে নিয়ে তাঁর গাড়ি নিয়েও পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। সেই সময় প্রিয়াঙ্কা হামলাকারীদের বলেন যে এই গাড়িটি তাঁর নয়। সাহায্যের জন্য চিৎকার-চেঁচামেচি করতেই তাঁরা বিয়ার বোতল নিয়ে হামলা করেন। যুবতীর গলায় ও বুকে আঘাত লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। ১০টি সেলাই করাতে হয়েছে তাঁকে।

পুলিশকে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, হামলার পরই তিনি উবারের এমার্জেন্সি নম্বরে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিলেন। উবারের প্রত্যেক গাড়িতে যে প্যানিক বাটন থাকে, তাতেও বারংবার চাপ দেন তিনি, কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। এরপরে তিনি পথচলতি অন্যান্য গাড়িগুলিকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তারাও কেউ সাহায্য করেননি। ছিনতাইয়ের চেষ্টার আধ ঘণ্টা পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরেরদিন ভোরবেলায় অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের তরফে তাঁকে ফোন করা হয়, জিজ্ঞাসা করা হয় যে অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন আছে কি না।

যুবতীর দাবি, পরেরদিন হাসপাতাল থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়ি নিয়ে আসেন। সেই সময় অচৈতন্য থাকায় তিনি পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি।