Delhi Crime: আবির নয়, রক্তে রাঙা গোটা চত্বর! হোলির রাতে একের পর এক ফোন পেয়ে ছুটেছিল পুলিশ, শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য দেখল তারপর…

Murder Case: সোনু ও অভিষেক নামক দুই যুবকের মধ্যে মূলত বচসা বাধে। তাঁরা দুইজনই মুন্ডকা এলাকার ১৪ নম্বর গলির বাসিন্দা। অভিষেক ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু মধ্য রাতে হঠাৎ বচসায় জড়িয়ে পড়ে সোনুর সঙ্গে।

Delhi Crime: আবির নয়, রক্তে রাঙা গোটা চত্বর! হোলির রাতে একের পর এক ফোন পেয়ে ছুটেছিল পুলিশ, শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য দেখল তারপর...
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 10, 2023 | 5:48 AM

নয়া দিল্লি: বচসা শুরু হয়েছিল সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে। নিমেষেই তা রূপ নিল হাতাহাতিতে। ছুরির আঘাতে মৃত্যুও হল দুইজনের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। ঘটনাটি ঘটেছে নয়া দিল্লির মুন্ডকা এলাকায়। বুধবার রাতে দুই যুবকের মধ্যে বচসা বাধে। তার জেরেই নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিও হয় এবং একে অপরের উপরে ছুরি দিয়ে হামলা করে। ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ প্রথম ফোন আসে। কয়েকজন যুবকের মধ্যে বচসার অভিযোগ জানানো হয়। এরপরে রাত ১টা ৪২ ও ১টা ৪৭ মিনিটে ছুরি নিয়ে হামলা এবং এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবরও জানানো হয়।  পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা গিয়েছে, সোনু ও অভিষেক নামক দুই যুবকের মধ্যে মূলত বচসা বাধে। তাঁরা দুইজনই মুন্ডকা এলাকার ১৪ নম্বর গলির বাসিন্দা। অভিষেক ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু মধ্য রাতে হঠাৎ বচসায় জড়িয়ে পড়ে সোনুর সঙ্গে। তাঁরা সোনুর উপরে ছুরি নিয়ে হামলাও করে। সোনুর বন্ধুরা আটকানোর চেষ্টা করলে, তাদের উপরও হামলা করে অভিষেক ও তাঁর বন্ধুরা। এরপরই সোনুর বন্ধুরা তাদের থেকে ছুরি ছিনিয়ে নিয়ে অভিযুক্ত অভিষেকের উপরে হামলা করে। তাঁকেও ছুরি দিয়ে কোপানো হয়।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মোট ৭ জনকে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা সোনু ও নবীন নামক দুই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিষেক ও অপর এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাদের সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অপর তিনজন আহত হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও, তাদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশ ইতমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনাস্থলে ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও ফরেন্সিক টিমও যায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা সকলে মুন্ডকার একটি খাবার তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। তবে কী কারণে বচসা বাধে এবং তা এতদূর অবধি গড়ায়, তা এখনও জানা যায়নি।