Sub-variant JN.1: কোভিড যেন রক্তবীজের বংশধর! ল্যাব টেস্টের ফল আসতেই সতর্ক স্বাস্থ্য মন্ত্রক

Sub-variant JN.1: যতবারই কোভিড-১৯ নিয়ে নিশ্চিন্ত হচ্ছে মানুষ, সঙ্গে সঙ্গে ফের ফুলে ফেঁপে উঠছে করোনার নতুন ঢেউ। ভারতে এখনও পর্যন্ত কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, দ্রুতই বিগড়ে যেতে পারে পরিস্থিতি। সাম্প্রতিক ল্যাব টেস্টে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল।

Sub-variant JN.1: কোভিড যেন রক্তবীজের বংশধর! ল্যাব টেস্টের ফল আসতেই সতর্ক স্বাস্থ্য মন্ত্রক
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 20, 2023 | 5:10 PM

নয়া দিল্লি: যেন রক্তবীজের বংশধর। যতবারই কোভিড-১৯ নিয়ে নিশ্চিন্ত হচ্ছে মানুষ, সঙ্গে সঙ্গে ফের ফুলে ফেঁপে উঠছে করোনার নতুন ঢেউ। ভারতে এখনও পর্যন্ত কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, দ্রুতই বিগড়ে যেতে পারে পরিস্থিতি। সাম্প্রতিক ল্যাব টেস্টে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল। বর্তমানে গোটা বিশ্বেই কোভিডের যে সাবভ্যারিয়েন্টটি কোভিডের বংশবিস্তার করে চলেছে, সেটি হল জেএন.১। এর আগে করোনার যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট খেল দেখিয়েছিল ভারতে, তারই তুতোভাই বলা যেতে পারে জেএন.১ সাবভ্যারিয়েন্টকে। এবার ভারতেও এই সাবভ্য়ারিয়েন্ট পাওয়ার নিশ্চিত খবর এল। বুধবার (২০ ডিসেম্বর), কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ভারতে ২১টি ক্ষেত্রে, জেএন.১ সাবভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

এর মধ্যে সবথেকে বেশি সংক্রমণ রয়েছে গোয়ায়। পর্যটন সম্বৃদ্ধ এই রাজ্যেই ১৯ জন করোনা রোগীর দেহে এই নয়া সাবভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া, কেরল এবং মহারাষ্ট্রেও ১টি করে জেএন.১ সাবভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ ঘটেছে। ওমিক্রনের মতোই জেএন.১ সাবভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের ক্ষেত্রেও হাল্কা অসুস্থতা থাকে রোগীদের মধ্যে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাসপাতালে ভর্তি করার দরকার নাও হতে পারে। তবে, ওমিক্রণের মতোই এর সংক্রমণও অত্যন্ত দ্রুত ছড়ায়। গত কয়েক সপ্তাহে বিশ্ব জুড়ে যত কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়েছে, তার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দায়ী ছিল এই জেএন.১ সাবভ্যারিয়েন্ট। এই সাবভ্যারিয়েন্টটিকে নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে তারা জানিয়েছে, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থাকলেও, করোনার প্রথম দিকের ভ্যারিয়েন্চগুলির মতো প্রাণঘাতী নয় এটি।

কত দ্রুত বাড়ছে করোনা? স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ৬ ডিসেম্বর ভারতে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১১৫। পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে এই সংখ্যা পৌঁছেছে ৬১৪-য়। তবে, এর মধ্যে ৯২.৮ শতাংশ ক্ষেত্রেই ঘরে নিভৃতবাসেই আছেন। কাজেই বোঝাই যাচ্ছে, অসুস্থতা খুব গুরুতর হচ্ছে না। অন্যদিকে, যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, তাদের অধিকাংশই অন্য অসুস্থতা নিয়ে হসপিটালে ভর্তি হচ্ছেন। কোভিজড পরীক্ষা করতে গিয়ে তাদের কোভিড-১৯ ধরা পড়ছে। কাজেই, তারাও সকলে করোনাভাইরাসের কারণেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাও বলা যায় না। তবে, করোনা নিয়ে কোনও পূর্বাভাস দেওয়া যায় না। অতীত অভিজ্ঞকতা বলে, চোখের নিমেষে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

এদিন দেশের কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তিনি বলেন, “করোনার নতুন স্ট্রেনগুলির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকা এবং প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। প্রতি তিন মাস অন্তর কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরে মক ড্রিল আয়োজন করা উচিত।” এছাড়া, জেলায় জেলায় ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখলেই, তা রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।