Murder Case: প্রেমিকাকে বারবার মেসেজ প্রাক্তনের, ‘শিক্ষা’ দিতে বুক চিরে হৃৎপিণ্ড বের করে নিল যুবক, কাটল মাথা ও যৌনাঙ্গও
Crime News: সম্প্রতিই ফের একবার নবীন প্রাক্তন প্রেমিকাকে মেসেজ করাতেই গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুই যুবকের মধ্যে বচসা শুরু হয়। নিমেষেই তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। রাগের বশেই হরিহর নবীনকে খুন করে তাঁর মাথা কেটে নেয়।
হায়দরাবাদ: প্রেমিকার সঙ্গে অন্য কোনও পুরুষ কথা বলুক, তা পছন্দ নয়। সেই কারণেই প্রেমিকার এক বন্ধুকে চরম শাস্তি দিলেন ২২ বছরের এক যুবক। মৃত যুবকের অপরাধ ছিল, সে প্রাক্তন প্রেমিকাকে প্রায়সই মেসেজ ও ফোন করত। এই অপরাধেই এক যুবকের মাথা কেটে, তাঁর বুক চিরে হৃৎপিন্ড বের করে নেয় অভিযুক্ত (Murder Case)। তবে এতেই ক্ষান্ত হয়নি সে, রাগের বশে নিহত ওই যুবকের যৌনাঙ্গ ও হাতের আঙুলও কেটে নেয় ২২ বছরের যুবক। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানার হায়দরাবাদে (Hyderabad)। পুলিশের কাছে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ (Surender) করেছে অভিযুক্ত।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার অভিযুক্ত নিজেই এসে থানায় আত্মসমর্পণ করেন এবং খুনের কথা স্বীকার করে নেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের প্রেমিকার প্রাক্তন প্রেমিক ছিলেন নিহত যুবক। সম্পর্ক ভাঙার পরও প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কারণেই অভিযুক্ত ওই যুবককে খুন করেন।
পুলিশের রিপোর্ট অনুুযায়ী, হরিহর কৃষ্ণ, নবীন ও ওই যুবতী-তিন জন একই কলেজের পড়ুয়া। হরিহর ও নবীন দুইজনই একই যুবতীর প্রেমে পড়েন। প্রথমে নবীনই নিজের মনে কথা জানিয়েছিল যুবতীকে, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও গড়ে ওঠে। কিন্তু বছর দেড়েক বাদে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপর হরিহর ওই যুবতীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং যুবতী তা গ্রহণও করে। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলেও, প্রাক্তন প্রেমিক নবীন ওই যুবতীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। প্রায়সময়ই তাঁকে মেসেজ ও ফোন করত। এই বিষয়টি না-পসন্দ ছিল হরিহরের। প্রেমিকার সঙ্গে এই নিয়ে তুমুল বচসাও হয় বেশ কয়েকবার।
সম্প্রতিই ফের একবার নবীন প্রাক্তন প্রেমিকাকে মেসেজ করাতেই গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুই যুবকের মধ্যে বচসা শুরু হয়। নিমেষেই তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। রাগের বশেই হরিহর নবীনকে খুন করে তাঁর মাথা কেটে নেয়। এরপরে একে একে বুক চিরে হৃৎপিন্ড বের করে নেয় এবং যৌনাঙ্গ ও হাতের আঙুল কেটে নেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুন ও দেহ খণ্ড-বিখণ্ড করার পর ছবি তোলে অভিযুক্ত এবং তা প্রেমিকার কাছে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায়। ইতিমধ্যেই পুলিশ ওই নিহত যুবকের দেহ উদ্ধার করেছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে।