Arvind Kejriwal: কেজরীবালের ‘অভব্য আচরণ’, রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে চিঠি দিলেন ৩০ প্রাক্তন আইপিএস অফিসার

30 Ex-IPS officer write against Arvind Kejriwal: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বিরুদ্ধে "অভব্য আচরণের" অভিযোগ করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখলেন গুজরাট পুলিশের ৩০ জন প্রাক্তন অফিসার।

Arvind Kejriwal: কেজরীবালের 'অভব্য আচরণ', রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে চিঠি দিলেন ৩০ প্রাক্তন আইপিএস অফিসার
ছবি সৌজন্য়ে : PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2022 | 10:53 PM

নয়া দিল্লি: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বিরুদ্ধে “অভব্য আচরণের” অভিযোগ করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখলেন গুজরাট পুলিশের কয়েকজন প্রাক্তন অফিসার। গুজরাট পুলিশের বদনাম করে তিনি রাজনৈতিক ফায়দা অর্জনের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। আহমেদাবাদে অটো ভ্রমণের সময় গুজরাট পুলিশ তাঁকে নিরাপত্তা দিতে চাইলে, তাদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন কেজরীবাল। এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তারা।

আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, গুজরাটে তারা উল্লেখযোগ্য শক্তিবৃদ্ধি করতে পেরেছে। আপের মোকাবেলা কীভাবে করবে, সেই বিষয়ে দিশাহীন বিজেপি। সেই কারণেই এই ধরনের একটি চিঠি লেখা হয়েছে। আপ দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “স্পষ্টতই, এই চিঠির পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে গুজরাটে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। তাদের নিজেদের নেতাদের কোনও জমমানসে কোনও আবেদন নেই এবং তারা পুরোপুরি কলঙ্কিত। এই জন্যই এখন কিছু অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তা চাইতে হচ্ছে বিজেপিকে।”

গুজরাটে বরাবরই লড়াই হয়েছে দ্বিমুখী – বিজেপি বনাম কংগ্রেস। এবার দুই দলের এই একচেটিয়া রাজনৈতিক ময়দানে ভাগ বসিয়েছে আপ। কেজরিবাল রাজ্যে জোরদার প্রচার চালাচ্ছেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর এক অটোচালকের বাড়িতে নৈশভোজ সেরেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। হোটেল থেকে ওই চালকের অটোতে করেই রওনা দিয়েছিলেন তিনি। মাঝপথে পুলিশ তাঁর অটো আটকে কেদরীবালকে নিরাপত্তা দিতে চেয়েছিল। সেই নিয়েই দুই পক্ষে বাদানুবাদ হয়।

এদিন রাষ্ট্রপতিকে লেখা তিন পৃষ্ঠার চিঠিতে, ৩০ জন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার অভিযোগ করেছেন, অরবিন্দ কেজরীবালকে নিরাপত্তা দিতে চেয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার। কিন্তু, জবাবে “কিছু বিরক্তিকর এবং অবাঞ্ছিত মন্তব্য” করেন কেজরীবাল। “গুজরাট পুলিশের আধিকারিকরা রাজ্যের সুরক্ষা ব্যবস্থার কালো দাগ” বলে পুলিশ বাহিনীকে জলাঞ্জলি দিয়ে জনসাধারণ মন জয়ের চেষ্টা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, এমন অভিযোগও করা হয়েছে। পঞ্জাবেও বিধানসভা নির্বাচনের আগে একই ধরণের কৌশল নিয়েছিলেন কেজরীবাল, এমনও অভিযোগ করা হয়েছে চিঠিতে। সেই ক্ষেত্রে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন, রাজ্যের দেওয়া সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হোক। অথচ, প্রচারপর্ব শেষ হতেই পাল্টি খেয়েছিলেন কেজরীবাল। তিনি তখন বলেছিলেন, দেশের পুলিশ বাহিনী তাঁকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতে পারে না।