Pune: জলপ্রপাতের নিচে স্ত্রীকে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে স্নান করতে বাধ্য করল স্বামী, গ্রেফতার ৪ জন
Pune: প্রকাশ্যে, এক জলপ্রপাতের নীচে তাঁকে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে স্নান করতে বাধ্য করেছে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন, বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মহারাষ্ট্রের পুনের এক মহিলা।
পুনে: প্রকাশ্যে, এক জলপ্রপাতের নীচে তাঁকে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে স্নান করতে বাধ্য করেছে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মহারাষ্ট্রের পুনের এক মহিলা। তাঁর দাবি, এই অশ্লীল আচরণ ছিল আসলে এক কালা জাদু সংক্রান্ত আচার অনুষ্ঠান। মৌলানা বাবা জমাদার নামে এক ওঝার পরামর্শেই তাঁকে ওই অস্বস্তিকর কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই আচারের লক্ষ্য ছিল পুত্রসন্তান লাভ। রবিবার (২২ অগস্ট), ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের করেছে পুনে পুলিশ। মহিলার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ওই ওঝাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, ২০১৩ সালে পুনে শহরের ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল তাঁর। তারপর থেকে ক্রমাগত তাঁকে হেনস্থা করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যৌতুকের জন্য চাপ দেওয়া ছিলই, পরে পুত্র সন্তানের জন্ম না দিতে পারার জন্যও তাঁকে দায়ী করা হয়। এরপর তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁকে কোলাপুর জেলার জয়সিংপুরে মৌলানা বাবা জমাদার নামে এক ওঝার কাছে নিয়ে গিয়েছিল। ওই ওঝা দাবি করেছিল, ওই মহিলার উপর কেউ একজন কালো জাদু প্রয়োগ করেছে। তাই তাদের একটি পূজা করতে হবে। আম্বেগাঁও বুদ্রুকের বাড়িতে এবং ইন্দাপুরের আকুর্দি, শিরোল ও সুরভাদ গ্রামে অবস্থিত তাঁদের অফিসে পূজা করা হয়।
তাতেও কাজ না হওয়ায় ওই ওঝা রত্নাগিরি জেলার মালেশ্বর জলপ্রপাতের নীচে জনসমক্ষে নগ্ন হয়ে স্নান করার নিদান দিয়েছিল। এর ফলে তিনি পুত্র সন্তান লাভ করবেন বলে দাবি করেছিল ওই ওঝা। স্বাভাবিকভাবেই এই প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না ওই মহিলা। কিন্তু, তাঁর ব্যবসায়ী স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে ওই কাজে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা। রবিবার তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতী বিদ্যাপীঠ থানার পুলিশ, ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ব্ল্যাক ম্যাজিক আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলির অধীনে এফআইআর দায়ের করে।
ওই মহিলা আরও অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামী ব্যবসার প্রয়োজনে তাঁর বিয়েতে পাওয়া সোনার গয়নাও কেড়ে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। তাঁর বাবা-মা তাঁকে বিয়েতে যা দিয়েছিল, সেই সকল সম্পত্তি একটি ব্যাঙ্কে বন্ধক রেখে ৭৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছে তাঁর স্বামী। আর তার জন্য তাঁর স্বাক্ষরও জাল করেছে স্বামী, এমনটাই অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। এছাড়া, ‘ব্যবসায় লাভের’ জন্য কোলাপুরের ওই ওঝার পরামর্শে তাঁর স্বামী এর আগেও বেশ কয়েকবা তাঁর উপর কালো জাদু প্রয়োগ করেছিল।