খোলা রেলগেটে যান চলাচলের মাঝেই দ্রুতগতিতে ছুটে এল ট্রেন, একাধিক গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত ৫

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অরক্ষিত রেলগেটের কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বরেলি ও সাহাজাহানপুরের মাঝে উল্লাসনগর ক্রসিংয়ের গেটটি খোলা ছিল। সেই সময়ই যে দ্রুগতগতিতে লখনউ-চণ্ডীগঢ় সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এসে একাধিক গাড়িতে ধাক্কা মারে।

খোলা রেলগেটে যান চলাচলের মাঝেই দ্রুতগতিতে ছুটে এল ট্রেন, একাধিক গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত ৫
দুর্ঘটনার পর রেললাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রাকটি।
Follow Us:
| Updated on: Apr 22, 2021 | 12:50 PM

সাহাজাহানপুর: রেলগেট খোলা থাকায় স্বাভাবিক গতিতেই চলছিল রেললাইন পারাপার। দূর থেকে যে দ্রুতগতিতে ছুটে আসছে ট্রেন, তা খেয়াল করেননি কেউই। যতক্ষণে চোখে পড়ল, দেরী হয়েছিল অনেকটাই। লখনউ-চণ্ডীগঢ় সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এসে সজোরে ধাক্কা মারে রেললাইনের উপরেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক সহ তিনটি গাড়িতে। লাইনচ্যুকত হয়ে পড়ে ট্রেনটিও। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। আহত আরও কয়েকজন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অরক্ষিত রেলগেটের কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। যন্ত্রচালিত গেট না থাকায় দায়িত্বে থাকা গার্ডই গেট বন্ধ করতেন। এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বরেলি ও সাহাজাহানপুরের মাঝে উল্লাসনগর ক্রসিংয়ের গেটটি খোলা ছিল। সেই সময়ই যে দ্রুগতগতিতে লখনউ-চণ্ডীগঢ় সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস আসছিল, তা জানতেন না কেউই। আচমকাই ট্রেন চলে আসায় লাইনের উপর দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহন সরানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ট্রেনটি এসে একে একে ট্রাক, ছোট ট্রাক, একটি গাড়ি ও বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় পাঁচজনের। এদের মধ্যে তিনজন আবার একই পরিবারের সদস্য।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জীব বাজপেয়ী বলেন, “রেল দুর্ঘটনায় মোট পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন পঞ্জাবের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে উদ্ধারকার্য চলছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।” অন্যদিকে, জেলাশাসক ইন্দ্র বিক্রম সিং জানান, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে রেলের একটি ইঞ্জিনিয়ারের দল পৌঁছেছে। লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটিকে ঠিক করে এবং একটি ট্রাকের মেরামতি সম্ভব হয়েছে। আগামী তিন-চার ঘণ্টার মধ্যেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িগুলিকে সরিয়ে ওই দুটি লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যবস্থা সচল করা হবে।

এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে মাথাপিছু দুই লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একইসঙ্গে কেন ওই রেলগেটটি অরক্ষিত ও খোলা ছিল, সেই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: করোনা কাঁটায় ‘লাল তালিকাভুক্ত’ ভারতের অতিরিক্ত বিমান চালানোর আবেদনেও ‘না’ হিথরো বিমানবন্দরের