Corona Virus: দেশে দৈনিক মৃত্যু বাড়লেও ৭ হাজারের আশেপাশেই রয়েছে সংক্রমণ!
India Corona Update: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৪৭ জন।
নয়া দিল্লি: বিশ্বে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন সংক্রমণ। বাদ পড়েনি ভারতও (India)। দেশে এখনও পর্যন্ত ৮৭ জন সংক্রমিত হয়েছেন। তবে এই ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি রয়েছে দেশের করোনা গ্রাফে (Corona)। ৭ হাজারের আশেপাশেই রয়েছে করোনা।
গোটা দেশের সার্বিক করোনাগ্রাফে সামান্য পরির্বতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৪৭ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৭ হাজার ৯৭৪ জন। যা গতকালের তুলনায় সামান্য কম হয়েছে। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ৩৯১ জন।
একদিনে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা একটুন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩০। মোট ৮৬ হাজার ৪১৫ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন। এদিকে,দেশে ৭ হাজার ৮৮৬ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৪১ লাখ ৬২ হাজার ৭৬৫ জন করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
তবে আক্রান্তের নীরিখে এখনও দেশের দক্ষিণের দেশগুলিই এগিয়ে। তার মধ্যে প্রথমে রয়েছে কেরল। সেখানে একদিনে ৩ হাজার ৪০৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩২০ জনের। দ্বিতীয় স্থানে আছে মহারাষ্ট্র। সেখানে ৬৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু ১৯ জনের। আগের তুলানয় যেই সংখ্যাটা অনেকটাই কমেছে। তৃতীয়স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১১ জন। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় কারোর মৃত্যু হয়নি। অন্যদিকে, রাজধানী দিল্লিতে ক্রমাগত বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে ৮৫ জনের শরীরে করোনার হদিশ পাওয়া গিয়েছে।
অন্যান্য রাজ্য ছাড়িয়ে বাংলাতেও এখন ওমিক্রনের আতঙ্ক। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে ৭ বছরের এক বালকের শরীরে ধরা পড়ে ওমিক্রন। সে আপাতত করোনা মুক্ত হলেও আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে ফের বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গতকালের থেকে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে সংক্রমণ। বৃহস্পতিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৬৬০ জন। এক দিনে মৃত্যু গয়েছে ১২ জনের। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৫৪। সেখান থেকে তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে সংক্রমণ। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দুদিন প্রায় একই। দু দিনই ৩৭ হাজারের কিছু বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে পজিটিভিটি রেট বেড়ে গিয়েছে।