Child Trafficking: দেশে রোজ পাচার হয় ৮ শিশু, জানাল NCRB রিপোর্ট

NCRB Report: এনসিআরবি রিপোর্ট অনুসারে, ২০২১ সালে ২ হাজার ১৮৯টি মানব পাচারের মামলা রুজু হয়েছে। ২০২০ সালে হয়েছিল ১ হাজার ৭১৪টি মামলা।

Child Trafficking: দেশে রোজ পাচার হয় ৮ শিশু, জানাল NCRB রিপোর্ট
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2022 | 4:50 PM

নয়াদিল্লি: মানব পাচার এ দেশের অন্যতম সমস্যা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই সক্রিয় রয়েছে এই পাচার চক্র। মূলত শিশু এবং মহিলারাই পাচারকারীদের মূল শিকার। এই পাচার রুখতে পুলিশ এবং বিভিন্ন সংগঠন উদ্যোগী হয়েছে গত কয়েক বছরে। কিন্তু চিন্তার বিষয় পাচারের সমস্যা দেশে বেড়েছে বই কমেনি। সদ্য প্রকাশিত ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)-র তথ্য তেমনই জানান দিচ্ছে। এনসিআরবি রিপোর্ট অনুসারে, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে পাচার বেড়েছে ২৭.৭ শতাংশ। ২০২১ সালে রোজ ভারতে পাচারের শিকার হয়েছেন ৮ জন শিশু।

এনসিআরবি রিপোর্ট অনুসারে, ২০২১ সালে ২ হাজার ১৮৯টি মানব পাচারের মামলা রুজু হয়েছে। ২০২০ সালে হয়েছিল ১ হাজার ৭১৪টি মামলা। অর্থাৎ ২৭.৭ শতাংশ বেশি মামলা রুজু হয়েছে পাচারের বিষয়ে। ২০২১ সালে দেশে ৬ হাজার ৫৩৩ জনকে পাচার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৮৭৭ জন শিশু। এবং ৩ হাজার ৬৫৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক। এর মধ্যে ৬ হাজার ২১৩ জনকে পাচারকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। রিপোর্ট জানচ্ছে, ২১৮৯টি পাচার মামলায় মোট ৫ হাজার ৭৫৫ জন গ্রেফতার হয়েছে। এই পরিসংখ্যান অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিটে যে সমস্ত মামলা নথিভুক্ত হয়েছিল, তার উপর ভিত্তি করে। দেশের ২০টি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে শাখা রয়েছে অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিটের। কিন্তু দেশে এমন অনেক পাচারের ঘটনা ঘটে যা নথিভুক্ত হয় না। সেই হিসাবে ধরলে আরও বাড়বে পাচারের সংখ্যা।

২০২১ সালে পাচারের অধিকাংশ মামলা দায়ের হয়েছে তেলঙ্গানা (৩৪৭), মহারাষ্ট্র (৩২০) এবং অসমে (২০৩)। শিশুরা পাচারকারীদের সহজ লক্ষ্য বলে জানা গিয়েছে। পাচারের বিরুদ্ধে কাজ করা এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “২০২১ সালে মোট পাচারের ৪৪ শতাংশ পাচার হয়েছে শিশুদের। মূলত শ্রমিক, ভিক্ষুকের কাজ এবং যৌনপেশায় নামানোর উদ্দেশে পাচার করা হয় শিশুদের।” কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবী বলেছেন, “এনসিআরবি রিপোর্ট কেবলমাত্র অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হয়। কিন্তু এমন প্রচুর মামলা রয়েছে যার তথ্য এএইচটিইউ-এর কাছেই পৌঁছয়ই না। তাই পাচারের সঠিক চিত্র পেতে এই রিপোর্টকেই সর্বোচ্চ বলে ধরে নেওয়া যায় না।”