Abhishek Banerjee: গুয়াহাটি-দিল্লির নিয়মে নয়, মেঘালয়ের নিয়মেই মেঘালয় চলবে, ‘মেঘেদের রাজ্যে’ গিয়ে বার্তা অভিষেকের
শিলংয়ে দলীয় কর্মীসভার বৈঠক থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, "পূর্বে সূর্যোদয় প্রথমে হয়। আমরা এটা বিশ্বে প্রমাণ করতে চাই।"
শিলং: গুয়াহাটি বা দিল্লির নিয়মে মেঘালয় চলবে না। মেঘালয়ের নিয়মেই মেঘালয় চলবে। মঙ্গলবার শিলংয়ে দলীয় কর্মীসভা থেকে এমনই বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে মেঘালয়ে বদলের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, মেঘালয় পরিবর্তনের ভোটের জন্য অপেক্ষা করছে। একটা নতুন গণতান্ত্রিক সরকার আনুন যারা এখানকার মানুষের জন্য কাজ করবে। আমাদের সরকার এলে মেঘালয় গুয়াহাটি, দিল্লির নিয়মে চলবে না। মেঘালয়ের নিয়মেই মেঘালয়ে চলবে। বিজেপির কেউ যদি বলে, তারা সরকারে এলে মেঘালয় গুজরাটের নিয়মে চলবে না, এটা ভুল। কনরাড সাংমা বিজেপি থেকে এসেছেন।” একইসঙ্গে গারো, খাসি আদিবাসীদের আবেগ উসকে দিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড আরও বলেন, “আমাদের প্রতীক হল, দুটি ফুল ও প্রতিটি ফুলে তিনটি পাপড়ি। তিনটি পাপড়ি হল- খাসি, জয়ন্তি ও গারো।”
মুকুল কনরাডের সরকারকে পরোক্ষে ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ তকমা দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মেঘালয় তার ঐতিহ্য হারিয়েছে। আমি নিশ্চিত সেটা ফিরে আসতে পারে। এই রাজ্য মেঘেদের ঘর নামে পরিচিত। এখন এটা দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেদের নিরাপদ স্থান হয়ে উঠেছে। আমি সর্বদা বলতে চাই,তৃণমূল সরকার যদি সরকারে আসে তাহলে আপনাদের সঙ্গে থাকবে, আপনাদের জন্য লড়বে এবং আমরা স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই ছাড়ব না।” কনরাড সরকার উৎখাতের ডাক দিয়ে অভিষেক বলেন, “দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার উৎখাত করুন। কেন এখানে ডবল ইঞ্জিন মডেলে চলবে? গারো, খাসি ভাষা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কে দিল্লিতে জানিয়েছে? কোনও রাজ্য থেকে কম যায় না মেঘালয়। কেবল বাংলা বলেছে, আমরা মেঘালয়ের মানুষের পাশে দাঁড়াব।” এপ্রসঙ্গে ৫ গারো নাগরিকের মৃত্যুর উল্লেখ করে কনরাড সরকারকে একহাত নেন অভিষেক। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় এখনও কেউ ধরা পড়েনি। মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলছেন না। কোনও রাজনৈতিক দল তাঁদের পাশে দাঁড়ায়নি। কেউ এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। কমিশনার তদন্ত বসেছে, কিন্তু এখনও কিছু হয়নি। আমরা এটার ন্যায় বিচার চাই।”
যদিও তৃণমূলকে থামানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ইডি, সিবিআই ভয় দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “দেশের মধ্যে তৃণমূল একমাত্র দল, যারা বিজেপির মাথাব্যথার কারণ। তাই ওরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই লাগাচ্ছে। কিন্তু আমরা সেটার পরোয়া করি না।” তাই গত কয়েক মাসের মধ্যে মেঘালয়ে তৃণমূলের ১ লক্ষ সদস্য হয়েছে বলেও জানান অভিষেক। এর জন্য মেঘালয়ের সমস্ত মানুষকে তিনি ধন্যবাদ জানান এবং তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। সকলকে বড়দিন ও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে তৃণমূলের ‘সেনাপতি’ বলেন, “নতুন বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পূর্বে সূর্যোদয় প্রথমে হয়। আমরা এটা বিশ্বে প্রমাণ করতে চাই। সেনাদের পাশে রয়েছি। প্রতিটি স্তরের মানুষ উপকৃত হবে।”