Abhishek Banerjee in Guwahati: ‘চাই ১৪-য় ১০, তাহলেই মিলবে দিল্লির কুর্শি’! গুয়াহাটিতে বড় ঘোষণা অভিষেকের

Abhishek Banerjee in Guwahati: অসমে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য দফতরের উদ্বোধন করে, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে সেই রাজ্য থেকে অন্তত ১০টি আসন জেতার লক্ষ্য স্থির করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Abhishek Banerjee in Guwahati: 'চাই ১৪-য় ১০, তাহলেই মিলবে দিল্লির কুর্শি'! গুয়াহাটিতে বড় ঘোষণা অভিষেকের
অসমের গুয়াহাটিতে বক্তৃতা দিচ্ছেন অভিষেক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 11, 2022 | 4:42 PM

গুয়াহাটি: চাই ১৪-এর মধ্যে ১০টি আসন। তাহলেই মিলবে দিল্লির কুর্শি। তারপর আর অসমকে দিল্লি চালাবে না, বরং দিল্লিকেই নিয়ন্ত্রণ করবে অসম। বর্তমানে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনই যে তৃণমূল কংগ্রেসের পাখির চোখ, গুয়াহাটি থেকে ভাসনে তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee in Guwahati)। একদিনের অসম সফরে গিয়ে এদিন গুয়াহাটিতে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় রাজ্য দফতরের উদ্বোধন করেন। এরপর, অসমের কর্মীদের কাছে দেড় বছর পরের লোকসভা নির্বাচনে বিরাট জয়ের আহ্বান জানালেন তিনি।

অসমের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উদ্দেশে অভিষেক বলেন, মেঘালয়ে তৃণমূল এক বছরের মধ্যে প্রধান বিরোধী দলে পরিণত হয়েছে। ত্রিপুরার পুরভোটেও শতাংশের হিসাবে ভাল ফল করেছে। এক বছর পরই মেঘালয় এবং ত্রিপুরায় নির্বাচন, দুই রাজ্যেই তৃণমূলের সরকার হবে। অসমের বিধানসভা নির্বাচন দূরে থাকলেও লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে দেড় বছরের মধ্যে। সেই নির্বাচনে অসমের ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে অন্তত ১০টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের জেতানোর আহ্বান জানান তিনি।

অভিষেক বলেন, ইডি-সিবিআই’এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার ভয় দেখিয়ে কংগ্রেস বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে দমিয়ে রাখা যায়। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রে বিজেপির সেই কৌশল খাটবে না। কারণ, সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানরা যে মনোভাব নিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে, সেই একই অদম্য মনোভাব নিয়ে রাজনৈতিক লড়াই লড়ে তৃণমূল। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস দলের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা থাকলেও, সকলেই জানেন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে না কংগ্রেস। অভিযোগ করেন, কং নেতারা শুধুমাত্র ‘ভাষণবাজি’র মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ করে রেখেছে। এই কারণেই সুস্মিতা দেব, রিপুন বোরার মতো নেতারা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিজেপিকে, বিজেপির ভাষাতেই জবাব দিতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস।

বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বিজেপি যে ডাবল ইঞ্জিন সরকার প্রচার করে, সেই ডাবল ইঞ্জিন সরকারকেও এদিন তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার মানে ডাবল চোর – অসমেও চুরি করবে, দিল্লিতেও চুরি করবে।’ অসমের সরকারকে তিনি উন্নয়ন নিয়ে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছেন। অভিষেক বলেন, অসমে লোকসভা, বিধানসভা, এমনকী, পুরভোটেও বিজেপি জিতেছে। তাদের হাতেই সব ক্ষমতা। তারপরও অসমের অবস্থা বদলায়নি। অসম থেকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যেতে হয়। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধে অসম এখন দেশে এক নম্বর। অসম সরকারের ৬ বছরের কাজ এবং বাংলার তৃণমূল সরকারের ১০ বছরের কাজ জনতার সামনে রেখে ভোট চাওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।

সপ্তাহের শুরুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর দু’দিনের অসম সফর নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি অভিষেক। বাংলা সফরে এসে সিএএ-এনআরসি নিয়ে হাওয়া তুললেও, অসমে এসে এই বিষয়ে একটি কথাও বলেননি। কারণ, তিনি অসমে এক কথা বলেন, বাংলায় আরেক কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি নিজেদের ছোট মনে করে। তাদের হাতে আসন সংখ্যা কম বলে মনে করে, তাদের ভোটের কোনও দাম নেই। কিন্তু, এমনটা ভাবা ভুল। অসমে ১০টি আসন জিততে পারলেই দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গড়বে বলে দাবি করেন অভিষেক। আর সেই লক্ষ্যে আগামী দেড় বছরে তিনি বারংবার অসমে ফিরে আসবেন। এর পরের অসম সফর জুন মাসে। সেই সময়, অসমে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা, মহকুমা, এমনকী বুথ স্তরেও কমিটি তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।