Amar Jawan Jyoti: ৫০ বছর পর ‘নিভছে’ অমর জওয়ান জ্যোতির শিখা
Amar Jawan Jyoti: ১৯৭২ সালের ২৬ জানুয়ারি অমর জওয়ান জ্যোতির উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।
নয়া দিল্লি : ১৯৭১-এর যুদ্ধের শহিদ হওয়া সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তৈরি হয়েছিল ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’। ৫০ বছর পর নিভিয়ে ফেলা হবে সেই অমর জওয়ান জ্যোতির আগুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর তৈরি করেছেন ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’ বা ‘জাতীয় যুদ্ধ স্মারক’। জানা গিয়েছে, সেই স্মারকের সঙ্গেই এবার মিশে যাবে অমর জওয়ান জ্যোতির আগুন। ১৯৭২ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসে এই শৌধের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ৫০ বছর পর সেই আগুনই নিভতে চলেছে।
ইন্ডিয়া গেটের কাছে রয়েছে সেই অমর জওয়ান জ্যোতি। ১৯৭১-এ পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হয় ভারত, গঠন হয় বাংলাদেশ। সেই যুদ্ধে শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই স্মারক তৈরি হয়। সেখানেই জ্বালানো আছে এক অনির্বাণ শিখা। ১৯৭২ সালে সেই স্মারক তৈরির পর থেকে প্রতি বার প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে অমর জওয়ান জ্যোতিতে শ্রদ্ধা জানান দেশের রাষ্ট্রপতি, দেশের প্রধানমন্ত্রী, নৌবহিনী, বায়ুসেনা ও স্থলসেনার প্রধান।
বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী শুক্রবার নিভিয়ে দেওয়া হবে অমর জওয়ান জ্যোতির আগুন। ইন্ডিয়া গেট থেকে ৪০০ মিটার দূরে তৈরি হওয়া ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালের সঙ্গে মিশে যাবে সেই আগুন।
২০১৯-এর ২৫ জুন ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে গ্রানাইট পাথরের গায়ে সোনালি অক্ষরে খোদাই করা রয়েছে ২৫ হাজার ৯৪২ জন শহিদের নাম। ২০২০-র পর থেকেই প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন বদল আসে রীতিতে। বর্তমানে প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ইন্ডিয়া গেটের কাছেই ৪০ একর জমিতে তৈরি হয়েছে এই যুদ্ধ স্মারক। চারটি চক্রের আকারে বানানো হয়েছে দেওয়াল। আকাশ থেকে দেখলে যা অনেকটা চক্রব্যূহের মতো মনে হয়। চক্র চারটির নাম দেওয়া হয়েছে, অমর চক্র, বীরতা চক্র, ত্যাগ চক্র ও রক্ষক চক্র। চক্রের দেওয়ালগুলিতে লেখা হয়েছে ২৫ হাজার ৯৪২ জন শহিদের নাম। সবচেয়ে ছোট চক্রটি অর্থাৎ অমর চক্রের মাঝে রয়েছে স্তম্ভ। ইন্ডিয়া গেটের মতো এখানেও অনির্বাণ শিখা জ্বালানো হয়েছে।