আইনি লড়াইয়ে রাজি দুই রাজ্যই, অসমবাসীদের মিজোরামে না যাওয়ার অনুরোধ

মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা বলেন, "হিমন্ত আমার বন্ধু এবং আমি ব্যক্তিগতভাবেও এই বিষয়ে ওর সঙ্গে কথা বলেছি। আমার মনে হচ্ছে, কেউ কেউ অসম সরকারকে ভুলপথে চালিত করার চেষ্টা করেছে।"

আইনি লড়াইয়ে রাজি দুই রাজ্যই, অসমবাসীদের মিজোরামে না যাওয়ার অনুরোধ
মিজোরাম হাউসের সামনে কড়া পাহারা। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2021 | 7:06 AM

গুয়াহাটি: সীমানা ঘিরে সংঘর্ষের জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত, তাই আপাতত মিজোরামে যেতে বারণ করা হল অসমবাসীকে। বৃহস্পতিবার অসম সরকারের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে এ কথা জানানো হয়।

রবিবার রাতে সীমানা লাগোয়া অঞ্চলে আটটি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া কেন্দ্র করেই সোমবার সকাল থেকে দুই রাজ্য়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দুই রাজ্য়ের বাসিন্দাদের মধ্যে ধুন্ধুমার লড়াই শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নামে। কিছুক্ষণেই রণক্ষেত্রের আকার নেয় দুই রাজ্য়ের সীমানা। গুলি চালানোর ঘটনায় অসমের ৭ পুলিশ কর্মী ও একজন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই জারি রয়েছে অশান্তি।

অসম পুলিশের অভিযোগ, মিজোরামের পুলিশেরা ইচ্ছে করেই অসমের পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই কয়েকজনের খোঁজ দিতে পারলে নগদ পুরস্কারও দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।  অন্যদিকে, মিজোরামের বক্তব্য, অসম পুলিশই সংঘর্ষ শুরু করেছিল, তাদের কাছে এর প্রমাণও রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের দু’দিন বাদেই কী করে এই ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটতে পারে, সে বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়।

বৃহস্পতিবার অসম প্রশাসনের জারি নির্দেশিকায় বলা হয়, “সোমবারের ঘটনার পরও মিজো সমাজ, পড়ুয়া ও য়ুব সম্প্রদায়গুলির একাংশ অসম ও অসমবাসীর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্য করছে। অসম পুলিশের কাছে যে ভিডিয়ো ফুটেজ রয়েছে, তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বহু সাধারণ মানুষের কাছেই অত্য়াধুনিক অস্ত্র রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অসমবাসীর সুরক্ষার কথা ভেবে মিজোরামে যেতে বারণ করা হচ্ছে। যারা কাজের জন্য মিজোরামে রয়েছেন, তাদেরও অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করার অনুরোধ করা হচ্ছে।”

অন্যদিকে, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা বলেন, ” আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে অসমই আগে গুলি চালিয়েছিল। সংঘর্ষে একে অপরকে দোষারেোপ করার বিষয়টি থাকবেই, কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সফল বৈঠকের পরও কী করে এই ঘটনা ঘটল।” তিনি আরও বলেন, “হিমন্ত আমার বন্ধু এবং আমি ব্যক্তিগতভাবেও এই বিষয়ে ওর সঙ্গে কথা বলেছি। আমার মনে হচ্ছে, কেউ কেউ অসম সরকারকে ভুলপথে চালিত করার চেষ্টা করেছে।”

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, সীমানা সমস্যা নিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। মিজোরামের তরফেও জানানো হয়েছে, তারা যে কোনও আইনি প্রক্রিয়ায় লড়াইয়ে রাজি। আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রা এখনও অনেক দূরে, রাজ্যগুলিতেই পড়ে আছে ২.৮৮ কোটি অব্যবহৃত টিকা!